তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আধুনিকায়নের ফলে যে সকল পরিষেবা এখন মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে তার মধ্যে চিকিৎসা সেবা উল্লেখযোগ্য। ডাক্তারের সিরিয়াল নেওয়া, সার্বক্ষণিক যেকোনো স্বাস্থ্যগত পরামর্শ, ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন, কোন ওষুধের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, এমনকি ঘরে বসে ঔষধ পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপের সাহায্যে। যে সকল ওয়েবসাইট বা অ্যাপের সাহায্যে এই পরিষেবাগুলি উপভোগ করা যাবে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-সুস্থ জীবন যাপনে স্বাস্থ্যবটিকা অনুসন্ধানের জন্য অনুমোদিত অ্যাপবর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি, বেসরকারী, কিংবা ব্যক্তি পর্যায়ে উদ্যোগের মাধ্যমে বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা সংক্রান্ত অ্যাপ তৈরি হচ্ছে। সুস্থ জীবন যাপনে স্বাস্থ্যবটিকা অনুসন্ধানের জন্য অনুমোদিত এই অ্যাপসমূহের মধ্যে আছে –১। মেডিটর হেলথ - স্টার্টআপ বাংলাদেশ এবং আইসিটি ডিভিশনের সহায়তায় সফলভাবে সারা দেশব্যাপী সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে মেডিটর হেলথ। প্রতিষ্ঠানটি এই মুহূর্তে প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক মানুষকে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করছে।অন্যান্য সেবার মধ্যে আছে –- অনলাইন ডাক্তার কনসালটেশন- হোম ডায়াগনস্টিক সার্ভিস- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন মোবাইল অ্যাপ (এর মাধ্যমে বিনা খরচে, সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারবে)- ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন নেওয়ার সুবিধা- স্বনামধন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বাসায় বসেই নিরাপদে প্রয়োজনীয় ল্যাব টেস্ট করানো। - হেলথ ট্র্যাকিং টুলের মাধ্যমে সপ্তাহ, মাস বা বছরের স্বাস্থ্যের অবস্থা, ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ইত্যাদি ব্যাপারে ধারণা দেওয়ামেডিটর হেলথ মোবাইল অ্যাপটি গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে এই লিঙ্কটি ব্যবহার করতে হবে- https://goo.gl/wRzLUPএছাড়াও হেল্পলাইন নাম্বার 01735 981845 ব্যবহার করেও প্রতিষ্ঠানটির স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করা যাবে। ২। ডাক্তার দেখাও – যেকোনো ধরণের শারীরিক অসুস্থতা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, বয়স্ক ও মাতৃকালীন স্বাস্থ্যসেবা বা নবজাতকের যত্ন এবং পরামর্শের জন্য কয়েক মিনিটের মধ্যে ভিডিও কল করে পেশাদার চিকিৎসকদের সাথে কথা বলতে ‘ডাক্তার দেখাও’ অ্যাপের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।তাদের অন্যান্য সেবাসমূহের মধ্যে আছে-- প্রেসক্রিপশন বুঝে নেওয়া- ঔষধ সেবনের অ্যালার্মhttps://doctordekhao.com.bd/ লিংকটি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটির স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করা যাবে।মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সুস্থ জীবন যাপনে স্বাস্থ্যবটিকা অনুসন্ধানমোবাইল ফোনের মাধ্যমে নাগরিকগণ এখন সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসকের কাছ থেকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরামর্শ নিতে পারছেন। এই পরিষেবার আওতায় বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা সরকারি হাসপাতালে একটি করে মোবাইল ফোন দেয়া হয়েছে। এসব মোবাইল ফোনে ২৪ ঘন্টা ব্যাপী কোন না কোন চিকিৎসক কল রিসিভ করেন। স্থানীয় জনগণ এসব মোবাইল ফোনে কল করে হাসপাতালে না এসেই বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারে।https://app.dghs.gov.bd/inst_info/mobile_search.php লিঙ্কটির সাহায্যে তোমার এলাকার জন্য নির্ধারিত মোবাইল নম্বরটি জানতে পারবে।সুস্থ জীবন যাপনে স্বাস্থ্যবটিকা অনুসন্ধান করতে এসএমএস এর ব্যবহার- এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রসুতিকালীন পরামর্শ পেতে ১৬৩৪৫ নম্বরে মেসেজ দিতে হবে- যে কোন সরকারী হাসপাতালের সেবার মানের ব্যাপারে অভিযোগ বা পরামর্শ জানাতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসএমএস করা যেতে পারে।এছাড়াও বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহের ডিজিটাল পরিষেবা পেতে http://www.dghs.gov.bd/ লিঙ্কটি ব্যবহার করতে পারবে।
আরও জানুনবিশ্বে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হওয়ার পর থেকেই যে বিকর্ত চলছে তা হলো প্রযুক্তি আশির্বাদ নাকি অভিশাপ? প্রযুক্তির উত্তোরত্তর সমৃদ্ধির সাথে এই বিতর্কও গতি পেয়েছে। প্রকৃতপক্ষে অতিরিক্ত যে কোন কিছুই ক্ষতিকর। যে কোন ডিজিটাল ডিভাইস যদি সঠিক নিয়মে ব্যবহার করা না হয় অথবা যদি অতিরিক্ত সময় ধরে ব্যবহার করা হয়, তাহলে ব্যবহারকারী বিভিন্ন রকমের ক্ষতির শিকার হতে পারেন। মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার এর অতিরিক্ত ব্যবহারে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থগত ঝুঁকি আছে। এমনকি ক্যান্সারের মত ভয়াবহ সমস্যার শুরু হতে পারে এখান থেকে। ডিজিটাল ডিভাইস এর অতিরিক্ত ব্যবহারের যে সকল সমস্যা হতে পারে: মোবাইলের অতি ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি: (১) অমনোযোগিতা: এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা সারাক্ষণ তাদের ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তারা যে কোন জরুরী পরিস্থিতিতে অন্যদের তুলনায় দেরিতে সক্রিয় হন। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, মোবাইল ফোন আমাদের কোন কাজের প্রতি একাগ্রতা নষ্ট করে দেয়। এর ফলে যে কোন কাজ করতে আমাদের স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগে। (২) সাধারণ অসুস্থতা: তুমি সারাক্ষণই তোমার প্রিয় ফোনটি নিয়ে ব্যস্ত থাকো। এতে ধূলোবালি তো জমা হয়ই, সাথে থাকে অনেক রোগ-জীবাণুও। খাবার সময় হয়তো মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে করতে বা কোন কল/মেসেজ রিপ্লাই করতে গিয়ে এই ডিভাইস থেকে প্রায় ২০ থেকে ৩০ ভাগ ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাস খাবারের সাথে তোমার দেহে প্রবেশ করলো। হয়ত তুমি সাথে সাথে অসুস্থ হবে না, কিন্তু পরবর্তীতে যেকোন অসুস্থতার জন্য এই বিষয়গুলোই দায়ী থাকবে। (৩) চোখের সমস্যা: দীর্ঘক্ষণ এবং চোখের খুব কাছে ফোন ব্যবহার করলে মাথাব্যথা, চোখ ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা-এরকম নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। এযে সকল শিশু মোবাইল গেম, কার্টুন এসবের প্রতি আসক্ত তাদের তাদের চোখের সমস্যার সম্ভাবনা বেশী থাকে। (৪) স্নায়বিক সমস্যা: মোবাইল ফোনের তেজস্ক্রিয়তা মস্তিষ্কে মেলাটনিনের (এক ধরনের হরমোন যা ঘুমে সহায়তা করে) পরিমাণ হ্রাস করে, যার ফলে ব্যবহারকারীর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে এবং বিভিন্ন স্নায়বিক সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া এটি এখন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, মোবাইল ফোন থেকে নিঃসরিত তড়িত-চৌম্বকীয় তরঙ্গের কারণে অনিদ্রা, আলঝেইমার ও পারকিনসন’স রোগের মত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। (৫) হার্টের সমস্যা: গবেষণায় জানা গিয়েছে, মোবাইল ফোন থেকে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয়তা মানুষের হার্টের স্বাভাবিক কর্মকান্ডকে ব্যহত করে। এর ফলে রক্তের লোহিত রক্তকণিকাতে থাকা হিমোগ্লোবিন আলাদা হয়ে যেতে থাকে। এছাড়া হিমোগ্লোবিন রক্তের লোহিত কণিকার মাঝে তৈরি না হয়ে দেহের অন্যত্র তৈরি হতে থাকে, যেটি বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যা তৈরি করে। (৬) শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া: যারা দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোনে কথা বলেন তাদের কানের বিভিন্ন সমস্যা যেমন-কানে কম শোনার ঝুঁকি অনেক বেশি। দৈনিক ২-৩ ঘন্টার বেশী সময় মোবাইলে উচ্চ শব্দে গান শোনা, কার্টুন দেখা, গেম খেলার সাথে জড়িত শিশুরা আংশিকভাবে বধির হয়ে যাওয়ার ঝুকিতে থাকে। (৭) মস্তিষ্কের ক্যান্সার: মোবাইল ফোন থেকে সৃষ্ট তেজষ্ক্রিয় রশ্মি আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ধীরে ধীরে মেরে ফেলতে পারে অথবা এর বেতার তরঙ্গ আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলোকে উত্তপ্ত করে তোলে। তাই মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার মস্তিষ্কের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কম্পিউটারের অতি ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকিঃ ব্যবসা বানিজ্য, অফিস, উচ্চশিক্ষা বাদেও কম্পিউটার এখন স্কুলের শিশুদের জন্যও প্রয়োজনীয়। অনলাইনে ক্লাশ করা ছাড়াও স্কুলের বিভিন্ন অ্যাসায়েনমেন্ট এর কাজেও কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। এগুলো বাদেও কম্পিউটার গেম খেলা, গান, সিনেমা দেখা এবং অন্যান্য কাজেও শিশুরা কম্পিউটার ব্যবহার করে। একটানা অনেকক্ষণ কম্পিউটার এর ব্যবহার মারাত্মক ক্ষতিকর। বিভিন্ন জটিল রোগের জন্ম হতে পারে একটানা অনেকক্ষণ কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে। এরকম কিছু সমস্যার বিষয়ে আলোচনা করা হলোঃ ১। কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে একটানা তাকিয়ে বসে থাকার কারণে পিঠের ওপর ক্রমাগত চাপ পড়ে ও দেহে রক্ত চলাচল ব্যহত হয়। দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে থাকাটা শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তারপরে যদি সেই বসাটা সঠিকভাবে না হয় তাহলে ব্যাকপেইন সহ আরও মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। এছাড়া দীর্ঘসময় কম নড়াচড়ার কারণে কম পরিমাণ ক্যালোরি খরচ হয় এবং আমাদের অজান্তেই ওজন বৃদ্ধিসহ হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিসের মতো জটিলতা তৈরি হতে পারে। ২। একদৃষ্টিতে দীর্ঘক্ষণ ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের ওপর মারাত্মক চাপ পড়ে। এরফলে চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া সহ চোখের অস্বস্তি, চোখ জ্বালা, চোখ শুকিয়ে যাওয়া, লাল হয়ে ওঠা, চোখ চুলকানো, মাথাযন্ত্রনা হতে পারে। অনেকক্ষণ ধরে কম্পিউটার গেমস খেলে যেসব শিশু তাদের চোখে এই সমস্যাগুলো সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে যে কেউ। বিশ্বের প্রায় সাত কোটি কর্মী কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোমের ঝুঁকিতে রয়েছেন আর সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছেই। দিনে মাত্র তিন ঘণ্টা কম্পিউটার ব্যবহার করলেও এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাঁরা আরও বেশি সময় ধরে কম্পিউটারে কাজ করেন, তাঁদের টানা মাথাব্যথা, ঘাড় ও পিঠে ব্যথাও হয়। তাই একটানা মোবাইল বা কম্পিউটারের দিকে না তাকিয়ে, কাজ করে মাঝে মধ্যে বিরতি নেওয়া জরুরি। প্রতি ১৫-২০ মিনিট পর পর একটু বিরতি নিয়ে উঠে দাঁড়ানো এবং পায়চারি করা দরকার। চেয়ারে ঘাড় ও পিঠ সোজা রেখে বসে কাজ করতে হবে এবং কম্পিউটার এমন দূরত্বে রেখে কাজ করা যেন ঝূঁকে দেখতে না হয়। হাত, কবজি, হাত ও উরু মেঝের সমতলে রেখে কাজ করতে হবে। এভাবে নিয়ম মেনে ব্যবহার করলেই সুস্থ্য থাকা সম্ভব।
আরও জানুনঅনলাইন ক্লাশের বিষয়টি বাংলাদেশে একদমই নতুন। করোনা ভাইরাসের প্রকোপে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসের দিকে দিকে বাংলাদেশে অনলাইন ক্লাশ বিষয়টির ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়। এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার জন্য শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রী সকলেরই ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইন্টারনেট সংযোগ বাধ্যতামূলক। বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকেই ছাত্রছাত্রীরা এই ক্লাশে অংশগ্রহণ করতে পারবে। স্বশরীরে স্কুলের ক্লাশরুমে বসে ক্লাশ করার মত অনলাইন ক্লাশেও শিক্ষার্থীরা নিজেদের মত বিনিময় করতে পারবে, শিক্ষককে প্রশ্ন করতে পারবে এবং শিক্ষক তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং মূল্যায়নও অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্ভব।ইন্টারনেটের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার একটি আধুনিক ব্যবস্থা এই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষা উপকরণগুলো সঠিকভাবে সরবরাহ করা গেলে এই ব্যবস্থাটি দেশ ও জাতির জন্য কার্যকরি ফল নিয়ে আসতে পারবে। অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ টুলস এর সাহায্যে শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। এ সকল টুলস, শিক্ষণ-শিখন পদ্ধতিতে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। যেমন-১। ক্লাসরুম এবং ক্লাসরুম পরিচালনাঃ গতানুগতিক পদ্ধতিতে ক্লাসরুম বলতে শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শারীরিক উপস্থিতি নির্ভর একটি ব্যবস্থাকে নির্দেশ করলেও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে ক্লাসরুম হলো বিভিন্ন অ্যাপ এর সাহায্যে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সমাবেশ। যেমন- গুগল মিট, জুম, মাইক্রসফট টিমস, স্কাইপ ইত্যাদি অ্যাপের সাহায্যে ক্লাসরুমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমাবেশ সহজতর হয়েছে এবং এসব অ্যাপের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিও অত্যন্ত সহজ। ২। জরুরি প্রশ্নোত্তর, জিজ্ঞাসা এবং যোগাযোগঃ গতানুগতিক পদ্ধতিতে জরুরি প্রশ্নোত্তর, জিজ্ঞাসা এবং যোগাযোগের জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মিথষ্ক্রিয়া জরুরি ছিলো। যা অনেকক্ষেত্রেই সময়সাপেক্ষ ছিলো। বর্তমানে, ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, মেসেঞ্জার ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ‘গ্রুপ’ গুলিকে ব্যবহার করে এই কাজ আর অনেক সহজতর করা সম্ভব হয়েছে।৩। জরুরি ডকুমেন্টস ব্যবস্থাপনাঃ এক্ষেত্রে মাইক্রোসফট অফিস, ওয়ান ড্রাইভ, ড্রপবক্স ইত্যাদি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে বহুল ব্যবহৃত হয়। ৪। কুইজ বা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহঃ এক্ষেত্রে মেন্টি.কম, গুগল ফরম ইত্যাদি ব্যবহার হয়।৫। এসাইনমেন্ট এবং বাড়ির কাজ ব্যবস্থাপনাঃ এই সংক্রান্ত কাজে গুগল ক্লাসরুমের ব্যবহার সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়াও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনানুসারে ইমেইল, হোয়াটস অ্যাপ ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম ও ব্যবহার হয়ে থাকে।
আরও জানুনসরাসরি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বহুল ব্যবহৃত একটি সফটওয়্যার/অ্যাপ হলো জুম। বিশ্বব্যাপী প্রায় সর্বত্র অনলাইন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য এটি খুবই জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত একটি মাধ্যম। ।জুম কী: জুম এক ধরনের কমিউনিকেশন অ্যাপ/সফটওয়্যার যার মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্স, অডিও কনফারেন্স, লাইভ চ্যাট, স্ক্রীন শেয়ার ইত্যাদি কাজ করা যায়। জুম অ্যপের ফ্রি গ্রাহক হলে একসাথে সর্বোচ্চ ১০০ জনকে নিয়ে ভিডিও, অডিও কল, কনফারেন্স বা ক্লাস করা যাবে। আর প্যাকেজ কিনে জুম অ্যাপ ব্যবহার করলে ৩০০, ৫০০, ৭০০ বা তারও বেশী সংখ্যক মিলে ভার্চুয়াল কনফারেন্স করা যাবে। যদি অ্যানড্রয়েড ফোনে জুম অ্যাপ ডাউনলোড করতে চাও তবে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে জুম অ্যাপ নামে সার্চ দিলেই অ্যাপটি পাওয়া যাবে। সেখান থেকে ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে অ্যাপটি। আর যদি ডেস্কটপ কম্পিউটার/ল্যাপটপে জুম ডাউনলোড করতে চাও তবে https://zoom.us/download এই লিংক থেকে ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে। ফ্রি ইউজাররা জুম অ্যাপ ব্যবহার করে একটানা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মিটিং বা ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবে।জুম অ্যাপ ব্যবহারের নিয়ম:ডাউনলোড করার পর জুম অ্যাপটি চালু করলে কয়েকটি বিষয় সামনে আসবে। তা হলো জয়েন এ মিটিং, হোস্ট এ মিটিং, সাইন ইন, সাইন আপ। মনে করো আজ দুপুরে তোমার ক্লাস আছে অনলাইনে। জুম ব্যবহার করে ক্লাস করতে হবে। ছাত্রীদের ক্লাশে যুক্ত করার জন্য শিক্ষক একটি লিংক দিবেন অথবা নির্দিষ্ট আইডি ও পাসওয়ার্ড দিবেন। ঐ লিংকে প্রবেশ করে বা জুম অ্যাপের জয়েন এ মিটিং অপশনে গিয়ে নির্দিষ্ট আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ক্লাসে অংশগ্রহণ করা যাবে। এক্ষেত্রে ক্লাসে অংশগ্রহণের জন্য ক্লাশের আয়োজক শিক্ষকদের অনুমতি লাগবে। জুমের অ্যাকাউন্ট না থাকলেও তুমি ক্লাসে অংশ নিতে পারবে। তবে নিয়মিত জুম অ্যাপ ব্যবহার করে ক্লাস বা মিটিং করার প্রয়োজন হলে সাইন আপ করে জুম অ্যাকাউন্ট করে রাখা ভালো। জুমে নতুন অ্যা্কাউন্ট খোলার জন্য সাইন আপে ক্লিক করে তোমাকে বিভিন্ন ধরণের তথ্য দিতে হবে। যেমন তোমার নাম, জন্ম তারিখ, ইমেইল ঠিকানা ইত্যাদি। প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করার পর তোমার প্রদত্ত ইমেইল ঠিকানায় একটি কনফার্মেশন লিংক আসবে যেখানে লেখা থাকবে অ্যাক্টিভ ইউর অ্যাকাউন্ট। ঐ লিংকে প্রবেশ করে পাসওয়ার্ড সেট করে দিলেই অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। পরবর্তীতে নিজের জুম অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে চাইলে সাইন ইন এ গিয়ে ইমেইল অ্যাড্রেস ও পাসওয়ার্ড দিয়ে জুম অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে।
আরও জানুনভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে অনলাইনে বাসায় থেকেই ক্লাস করার জন্য আদর্শ একটি অ্যাপ/সফটওয়্যার গুগল মিট। অন্য সব কমিউনিকেশন অ্যাপের থেকে গুগল মিটে বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। তাছাড়া গুগল মিট অ্যাপটি ব্যবহার করাও অনেক সহজ। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করে এমন যে কেউই গুগল মিট অ্যাপটি ব্যবহার করে ক্লাসে বা ভিডিও কনফারেন্সিং এ অংশগ্রহণ করতে পারবে। ইন্টারনেট সংযোগ ও ডিজিটাল ডিভাইস থাকলে যে কোন স্থান থেকেই গুগল মিটের মাধ্যমে ক্লাসে বা মিটিং এ অংশগ্রহণ করা যায়। গুগল মিটের ফ্রি ভার্সনে ১০০ জন কে একসাথে নিয়ে ৫০ মিনিট পর্যন্ত ভিডিও ক্লাস বা মিটিং চালানো যায়। ডেস্কটপ কম্পিউটার বা ল্যাপটপে গুগল মিটে ক্লাস করার জন্য শিক্ষক একটি লিংক দিবেন। ছাত্রছাত্রী সেই লিংকে ক্লিক করার পর শিক্ষক অনুমতি দিলে সরাসরি গুগল মিট ক্লাসরুমে প্রবেশ করা যাবে। অথবা শিক্ষক একটি মিটিং কোড দিবেন ছাত্রছাত্রীকে। ছাত্রছাত্রীরা https://meet.google.com/ এই লিংকে গিয়ে Join a meeting এ ক্লিক করে নির্দিষ্ট স্থানে স্যারের দেওয়া মিটিং কোড ব্যবহার করে এন্টার চাপতে হবে। এরপর স্যার অনুমতি দিলেই ক্লাশরুমে প্রবেশ করতে পারবে।যদি অ্যানড্রয়েড ফোনে গুগল মিট অ্যাপ ডাউনলোড করতে চাও তবে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে গুগল মিট অ্যাপ নামে সার্চ দিলেই অ্যাপটি পাওয়া যাবে। সেখান থেকে ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে অ্যাপটি। অ্যাপটি চালু করে জয়েন এ মিটিং এ প্রবেশ করে নির্দিষ্ট স্থানে কোড দিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করা যাবে।যে কোন একটি জি মেইল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করা থাকলে ঐ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই গুগল মিট ব্যবহার করা যায়। আলাদা করে সাইন আপ করে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন হয় না।গুগল মিট ব্যবহার করে অডিও ও ভিডিও কল, কনফারেন্স, মিটিং, ক্লাস, চ্যাট, স্ক্রীন শেয়ার ইত্যাদি সুবিধা পাওয়া যায়।
আরও জানুনতুমি যদি ইন্টারনেটে কোনো সার্ভে-তে অংশগ্রহণ করে থাকো তবে তুমি হয়ত ইতোমধ্যেই গুগল ফরম ব্যবহার করেছো। গুগল ফরম হলো ইন্টারনেটে সার্ভে অথবা প্রশ্নোত্তর তৈরি করার কাজে ব্যবহার হওয়া একটি ফ্রি সফটওয়্যার। গুগল ফর্মে প্রদত্ত প্রশ্নের প্যাটার্নকে নিজের ইচ্ছেমতো গুছিয়ে নেওয়া যায়। যেমন- উত্তরের ধরন, ফরমটির রঙ ও ডিজাইন, শিরোনাম কিংবা প্রদর্শনকৃত ছবিকে পছন্দমতো সাজানো যায়।গুগল ফরম সম্পর্কে একটি কথা জেনে রাখতে হবে। তা হলো – গুগল ফর্মের সাহায্যে প্রশ্নোত্তর বা সার্ভে তৈরি করতে চাইলে তোমার অবশ্যই একটি গুগল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। তবে শুধুমাত্র কোনো গুগল ফর্মে তৈরি হওয়া সার্ভে বা প্রশ্নোত্তরে অংশ নিতে তোমার গুগল অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক নয়।গুগল ফরম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রাহক ফরম তৈরি, কোনো ইভেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ, অথবা কুইজ তৈরি করা যায়। কারণ এতে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নোত্তর তৈরির নকশা রয়েছে। যেমন-১। বহু নির্বাচনী প্রশ্নোত্তর- এর সাহায্যে অনেকগুলি বিকল্পের মধ্যে একটিকে বাছাই করতে বলা হয়।২। সংক্ষিপ্ত উত্তর – এর সাহায্যে এক কথায় উত্তর চাওয়া হয়৩। অনুচ্ছেদ- এর সাহায্যে অপেক্ষাকৃত বড় প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়৪। চেকবক্স – এটি অনেকটা বহু নির্বাচনী ধরনেরই, তবে এক্ষেত্রে অনেকগুলি বিকল্পের মধ্যে একাধিক বিকল্প বাছাই করার সুযোগ থাকে।৫। ড্রপ ডাউন – এটি অনেকটা বহু নির্বাচনী ধরনেরই, তবে এক্ষেত্রে বিকল্পগুলি দেখার জন্য ড্রপ ডাউন মেন্যু অপশনটি বাছাই করতে হয়।৬। বহু নির্বাচনী গ্রিড- – এটি অনেকটা বহু নির্বাচনী ধরনেরই, তবে এক্ষেত্রে বিকল্পগুলি কলাম ও সারিতে বিভক্ত থাকে।৭। তারিখ/সময়- তারিখ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে শুধুমাত্র তারিখ বা সময় লিখে দেওয়ার বিকল্প (অপশন) থাকে।৮। ফাইল আপলোড- কোন ফাইল/ছবি ইত্যাদি যুক্ত করার সুযোগ থাকে। গুগল ফরম তৈরি, পূরণ ও প্রেরণ পদ্ধতি-গুগল ফরম তৈরি, পূরণ ও প্রেরণ করতে নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে-১। প্রথমে গুগল অ্যাকাউন্ট থেকে অথবা forms.google.com লিঙ্ক থেকে গুগল ফরমে প্রবেশ করতে হবে।২। গুগল ফরমে প্রদত্ত বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর নকশাকে নিজের প্রয়োজন অনুসারে সাজিয়ে কুইজ, সার্ভে কিংবা সাধারণ তথ্য সংগ্রাহক ফরম বানাতে হবে।৩। প্রস্তুতকৃত ফরমটি ‘সেন্ড’ অপশনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় প্রেরণ করতে হবে। এছাড়া ফর্মের লিংক নিয়ে তা মেইল, হোয়াটস অ্যাপ, মেসেঞ্জার বা অন্য যেকোন উপায়ে ব্যবহারকারীর কাছে পাঠানো যায়।ক্যুইজগুগল ফরম পূরণ করতে-১। নির্দিষ্ট গুগল ফরমের লিঙ্কটিতে ক্লিক করলে সেটি গুগল ক্রোম অথবা যেকোনো ব্রাউজারে চালু হবে।২। এবারে প্রয়োজনানুসারে নির্দিষ্ট ঘরে তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করতে হবে।৩। ‘সাবমিট’ অপশনে ক্লিক করে ফরম পূরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।(পূরনকৃত ফরমের একটি কপি ইমেইলের মাধ্যমে পেতে চাইলে ‘Send Me A Copy’ অপশনটি চালু রেখে সাবমিট করতে হবে।
আরও জানুনসময়ের সাথে সাথে সব কিছুরই পরিবর্তন হয়। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা একসময় ছিল পাঠশালা, মক্তব কেন্দ্রিক। সময়ের সাথে সাথে যুগের চাহিদা অনুযায়ী পাঠশালা, মক্তবের জায়গাগুলো দখল করে নেয় স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রযুক্তি ও আধুনিকতার ছোয়ায় এই শিক্ষা পদ্ধতিতেও পরিবর্তন এসেছে। ডিজিটাল ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে যে কোন স্থানে বসেই জ্ঞান অর্জন সম্ভব। বাংলা ভাষাতে জ্ঞান অর্জনের এই সুযোগটি সহজ করে দিয়েছে টেন মিনিট স্কুল নামের এই উদ্যোগটি।https://10minuteschool.com/ এই ওয়েব সাইটে গিয়ে স্বল্পমূল্যে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক পাঠ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিং, ইংরেজী প্রশিক্ষণ, স্কিল ডেভলপমেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান/দক্ষতা অর্জন সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধায়নে বিভিন্ন কোর্সের লাইভ ক্লাশ, লেকচার শিট, প্রশ্ন-উত্তর, মডেল টেস্ট, মূল্যয়ন এর ব্যবস্থা আছে এখানে। রেকর্ডেড ভিডিও দেখার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে এই ওয়েব সাইটে। এমনকি বিদেশে পড়ালেখা করতে হলে পরীক্ষা নামের যে বাধা পেরিয়ে আসতে হয়, সে বাধাকে সহজ করার জন্য SAT, GRE, GMAT আর IELTS-এর অনুশীলনের জন্যও টেন মিনিট স্কুল রেখেছে ১০ মিনিটের মজাদার সব মডেল টেস্ট আর কুইজ।জে এস সি, এস এস সি, এইচ এস সি পর্যায়ের বিভিন্ন বিষয়ের ফ্রি ক্লাশের ব্যবস্থা আছে ১০ মিনিট স্কুলের ইউটিউব চ্যানেলে। স্কিল ডেভলপমেন্ট এর বিভিন্ন বিষয়ের ফ্রি ভিডিও পাওয়া যাবে তাদের ইউটিউব চ্যানেলে। https://www.youtube.com/channel/UCL89KKkLs0tZKld-iIS3NGw এই ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে যে কেউ বিনমূল্যে তোমাদের প্রয়োজনীয় অ্যাকাডেমিক পাঠের সহায়তা পাবে। ২০১৫ সালে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ১০ মিনিট স্কুল এর যাত্রা শুরু । “শেখো, অনুশীলন করো এবং উন্নত হও” এই ট্যাগলাইন নিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে শুরু হয়েছিল অনলাইন স্কুলটির পথচলা। কোনো শিক্ষার্থীর যদি শেখার আগ্রহ ও পূর্ণ ইচ্ছা থাকে, তাহলে সে যে প্রান্ত থেকেই আসুক না কেন, তার আর্থিক অবস্থা যেমনই থাকুক না কেন, তাকে সর্বোচ্চ শিক্ষাদান করা উচিত। আর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন টেন মিনিটস স্কুলের কর্মীরা। মুক্ত এবং উন্নত শিক্ষা সবার জন্য—এ লক্ষ্যেই এগোচ্ছে স্কুলটি। ১০ মিনিট স্কুলের ওয়েব সাইট থেকে অ্যাকাডেমিক পাঠের সহায়তার জন্য https://10minuteschool.com/ ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে হোম পেইজের উপরের দিকে স্টাডিতে ক্লিক করতে হবে। তারপর উপরে ডানদিকে ক্লাশ পরিবর্তনে গিয়ে তোমার ক্লাশ সিলেক্ট করতে হবে। এরপর যে বিষয়ে তুমি সহায়তা চাও সেই বিষয় সিলেক্ট করে বিষয়টির নির্দিষ্ট অধ্যায় সিলেক্ট করে দিতে হবে। তাহলেই সেই অধ্যায়ের উপর ইউটিউবের ভিডিও লেকচার পাওয়া যাবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে তোমাকে কোন রেজিস্ট্রেশন বা ফর্ম পূরণ করতে হবে না।এভাবে তুমি বিভিন্ন বিষয়ের কোর্সে অংশগ্রহণ, এবং সেগুলোর মূল্যায়নে অংশগ্রহণ করে তোমার নিজের প্রয়োজনীয় জ্ঞান/দক্ষতা বাড়াতে পারবে এবং নিজের শেখার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা গ্রহণ করতে পারবে।
আরও জানুনঅনলাইনে কোর্স করার ক্ষেত্রে ভাষা একটি বড় সমস্যা ছিল বাংলাদেশের সাধারণ জনগনের জন্য। সময়ের সাথে সাথে অনলাইন কোর্সের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে বাংলা ভাষাতে ই-লার্নিং কোর্সের ব্যবস্থা করতে। বাংলাদেশ সরকারের অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের তত্বাবধায়নে পরিচালিত এরকম একটি উদ্যোগ ‘মুক্তপাঠ’। যে কোন শিক্ষা, চাকরি, বিদেশগামী কর্মী, কৃষি, গবাদি পশু লালন-পালন বা নতুন কোন উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। এই দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সহায়ক হিসাবে কাজ করে মুক্তপাঠ। এ ছাড়াও কারিগরি জ্ঞান অর্জন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহার, রোগ প্রতিরোধে করণীয় বিভিন্ন বিষয়ের প্রাথমিক জ্ঞান পাওয়া যাবে মুক্তপাঠের মাধ্যমে।মুক্তপাঠে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে কোর্সে অংশগ্রহণ করতে হয় এবং সফলভাবে কোর্স সম্পন্নকারীকে অনলাইন সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।যেকোন বয়সের নাগরিক বিভিন্ন বিষয়ে নিজের দক্ষতা সম্পর্কে জানার জন্য বা দক্ষতার উন্নয়ন করার জন্য মুক্তপাঠের কোর্সে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। কোর্সগুলো সহজ ও সাবলীল বাংলা ভাষাতে হওয়ার কারণে সকলের জন্যই তা বোধগম্য। এই কোর্সগুলো সম্পূর্ণ ফ্রি এবং কোর্স শেষে যে সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে তা সিভিতে যুক্ত করলে সংশ্লিষ্ট চাকুরী প্রাপ্তির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। মুক্তপাঠ থেকে কোর্স করার জন্য https://www.muktopaath.gov.bd/ এই ওয়েব সাইটের রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর একটি রেজিস্ট্রেশন ফর্ম আসবে সেখানে নাম, পেশা, জন্ম তারিখ, জেন্ডার, ইমেইল আইডি, মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে। সবশেষে পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। মোবইল নম্বর বা ইমেইল আই ডি তে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে। সেই কোড নির্দিষ্ট স্থানে প্রদান করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে। সফলভাবে রেজিষ্ট্রেশন করার পর মুক্তপাঠে কোর্স করতে পারেবে। মুক্তপাঠের ওয়েব সাইটে গিয়ে ইমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন ইন করতে হবে। এরপর তোমার পছন্দমত কোর্স নির্বাচন করে শুরু হবে মুক্তপাঠের সাথে পথচলা। একটি কোর্স সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করার পর আরেকটি কোর্স শুরু করা যাবে।
আরও জানুন