Issue area অনলাইন আসক্তি বুঝার উপায়

কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের মত বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস বর্তমানে খুবই সহজলভ্য। বিশেষ করে স্মার্টফোন নামক যন্ত্রটি এখন বেশিরভাগ মানুষের হাতেই দেখা যায়। এটি ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন কাজ করতে পারছি। জরুরি কাজের পাশাপাশি বিনোদনমূলক কাজেও স্মার্টফোনের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। অনলাইন সামাজিক মাধ্যম, অনলাইন গেম, ভিডিও দেখা, গান শোনা ইত্যাদি বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড স্মার্টফোনের কল্যাণে হাতের মুঠোয় চলে এসেছে।অনলাইন বিনোদনসমূহ বহুল ব্যবহারের একটি মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে অনলাইন আসক্তি। অনলাইন সেবা ব্যবহারের প্রতি যে মোহ ব্যবহারকারীকে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন করে তোলে এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নেশাগ্রস্ত করে রাখে তাই অনলাইন আসক্তি। এই আসক্তি সকল শ্রেণি-পেশা-বয়সের মানুষের মধ্যেই দেখা দিতে পারে। তবে কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সমস্যাটি বেশি দেখা যায়।অনলাইন আসক্তি অবহেলার কোন ব্যাপার নয়। দিন দিন এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে। প্রায় সময়ই আমরা আমাদের ডিজিটাল ডিভাইসে স্ক্রিনের দিকে মন্ত্রমুগ্ধের মত তাকিয়ে থাকছি। এমনকি পারিবারিক অনুষ্ঠান বা বন্ধুদের আড্ডায় বসেও আমরা অনলাইনে ব্যস্ত থাকছি। বাস্তব জগতে নিজেদের মধ্যে কথা বলার চেয়ে অনলাইনের অবাস্তব জগতই যেন ক্রমাগত আমাদের কাছে মূখ্য ও প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ছে। অনলাইনের প্রতি এই আসক্তি মাদকাসক্তির মতই আমাদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।                    মাদকাসক্তির যেমন কতগুলো উপসর্গ আছে, ঠিক তেমনি অনলাইন আসক্তিরও রয়েছে বিভিন্ন উপসর্গ। এগুলো দেখে বোঝা যায় একজন মানুষ অনলাইনে আসক্ত কিনা। যেমন –  নানা পারিবারিক কাজে সহযোগিতা না করা এবং অন্যান্য সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ হ্রাস পাওয়া  আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবদের সাথে পারস্পারিক মিথষ্ক্রিয়া কমে যাওয়া  কোথাও বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করা এবং বাইরে বের হতে না চাওয়া  পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া  অযথা রাত জাগা এবং সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা  প্রতিনিয়ত শিক্ষা বা কর্মস্থলে দেরি করে যাওয়া  শিক্ষার্থীরা পড়তে বসলে দ্রুত পড়া শেষ করা বা খেতে বসলে তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করা  খেতে বসলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা, ইউটিউবে গান শোনা বা ভিডিও দেখা   অনেক সময় চড়া গলায় কথা বলা এবং মেজাজ খিটখিটে থাকা জরুরি কাজ না থাকলেও দিনের বেশিরভাগ সময় কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করা  শারীরিক ও মানসিকভাবে দূর্বল ও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া  অতিমাত্রায় ইন্টারনেট ব্যবহার এবং অনলাইন গেম খেলার কারণে চোখ ফুলে যাওয়া ও চোখের নিচে কালি পড়া  সবসময় ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত থাকা 

আরও জানুন
Issue area অনলাইন আসক্তির ক্ষতিকর প্রভাব

প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমসমূহের ব্যবহার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আমরা বেশিরভাগ সময় অনলাইনেই অতিবাহিত করছি। শিশু থেকে বয়স্ক, সবার ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। কিছুটা অবসর সময় পেলেই আমরা অনলাইনে মশগুল হয়ে পড়ছি। কেউ হয়তো ইউটিউবে ভিডিও দেখছি, কেউ বা স্পটিফাইতে গান শুনছি, আবার কেউ অনলাইনে গেম খেলায় ব্যস্ত। এসব অনলাইন মাধ্যমসমুহের ব্যবহার মোটেই নিন্দনীয় কোন বিষয় নয়। কিন্তু এসব তখনই সমস্যা হয়ে দেখা দেয়, যখন আমরা অনলাইন মাধ্যমগুলো অতিরিক্ত ব্যবহার করতে করতে এসবের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ি। এই অনলাইন আসক্তি আমাদের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে এবং আমরা সম্মুখীন হতে পারি নানাবিধ ক্ষতি ও সমস্যার।তাহলে এবার জেনে নেয়া যাক, অনলাইন আসক্তির ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে –·         দিনের অনেকটা সময় অনলাইনে অতিবাহিত করার ফলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে দূরত্ব তৈরি হয়। আবার পরিবারের সদস্যরা বার বার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে নিষেধ করায় তাদের প্রতি অশ্রদ্ধা জন্মাতে পারে।·         অনলাইনে আসক্তির কারণে বিভিন্ন উৎসবে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করার ক্ষেত্রে অনাগ্রহ চলে আসে। ফলে সমাজে সকলের সাথে মিলেমিশে থাকার প্রবণতা নষ্ট হয়ে যায়।·         বয়স অনুপযোগী কন্টেন্ট অথবা অশ্লীলতার প্রতি আসক্তি তৈরি হতে পারে।   ·         সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে।·         বিভিন্ন প্রতারক বা সংঘবদ্ধ চক্রের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি থাকে।    ·         প্রতারণার মাধ্যমে বিশাল অংকের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এছাড়াও ইন্টারনেট বিল বাবদ প্রচুর অর্থ খরচ হয়।        বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা অনলাইনে কাজ করে থাকি। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, অনলাইনে আমাদের এতো বেশি সময় দেওয়া উচিৎ নয়। বরং অনলাইনের জগত থেকে বের হয়ে এসে আমাদের বাস্তব জীবনে আরো বেশি মনোযোগী হওয়া আবশ্যক।

আরও জানুন
Issue area ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহারের কুফল

আমাদের নানা কাজে আমরা অনলাইনের সহায়তা গ্রহণ করে থাকি। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস অপরিহার্য। কারণ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যতীত অনলাইনে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আমরা প্রায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টার ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করি। কিন্তু অতিরিক্ত ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর ফলে আমাদের স্থায়ী শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা খুবই দরকারী।নিচে অতিরিক্ত ডিভাইস ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে -     একই জায়গায় অনেকক্ষণ বসে থেকে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করলে কোন শারীরিক পরিশ্রম হয় না। এতে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে স্থূলতা বা ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই সাথে ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়। ফলে খাবারে অনিয়ম করতে শুরু করে কেউ কেউ এবং এর এতে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে।    স্মরণ শক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।  অনেকক্ষণ ডিজিটাল ডিভাইসের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়াসহ চোখের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।  অনেক সময় ধরে গান শোনা, সিনেমা দেখা - এই ধরনের কাজের জন্য শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে।  পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজের প্রতি মনোযোগ কমে যেতে পারে।  অতিরিক্ত ডিভাইস ব্যবহার করলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে যার কারণে মানসিক স্থিরতা ব্যাহত হতে পারে। দীর্ঘদিন টানা ডিভাইস ব্যবহার করলে ঘাড়, পিঠের ব্যবথাসহ মারাত্মক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।  অতিরিক্ত ডিজিটাল ডিভাইসের সংস্পর্শে থাকলে এগুলো থেকে নির্গত তেজষ্ক্রিয়তা ব্রেইন ক্যান্সার সহ অন্যান শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

আরও জানুন
Issue area শিক্ষামূলক অ্যাপ ও ওয়েবসাইট পরিচিতি (যেমন টেন মিনিট স্কুল, মুক্তপাঠ, কিশোর বাতায়ন, খান একাডেমি বাংলা, ইত্যাদি)

সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই পরিবর্তিত হয়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা একসময় ছিল পাঠশালা ও মক্তব কেন্দ্রিক। ধীরে ধীরে যুগের চাহিদানুযায়ী পাঠশালা/মক্তবের জায়গা দখল করে নেয় স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রযুক্তি ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই শিক্ষা পদ্ধতিও পরিবর্তন হচ্ছে। ডিজিটাল ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে এখন যেকোন স্থানে বসেই জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব। শিক্ষার প্রসার আরো অগ্রসর করার জন্য অনেক শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট দিন দিন শিক্ষার্থীদের কাছে হয়ে উঠছে আরো সহজলভ্য। এখানে এমনই কয়েকটি ওয়েবসাইট সম্পর্কে আমরা জানবো –(১) মুক্তপাঠবাংলাদেশের সাধারণ জনগণের জন্য অনলাইনে কোর্স করার ক্ষেত্রে ভাষা বেশ বড় একটি সমস্যা ছিল। সময়ের সাথে সাথে অনলাইন কোর্সের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে বাংলা ভাষায় ই-লার্নিং কোর্সের ব্যবস্থা করার জন্য। বাংলাদেশ সরকারের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রকল্পের তত্বাবধায়নে পরিচালিত এরকমই একটি উদ্যোগ ‘মুক্তপাঠ’। যে কোন শিক্ষা, চাকরি, বিদেশগামী কর্মী, কৃষি, গবাদি পশু লালন-পালন বা নতুন কোন উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। এই দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সহায়ক হিসাবে কাজ করে মুক্তপাঠ। এ ছাড়াও কারিগরি জ্ঞান অর্জন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহার, রোগ প্রতিরোধে করণীয় বিভিন্ন বিষয়ের প্রাথমিক জ্ঞান পাওয়া যাবে মুক্তপাঠের মাধ্যমে। https://www.muktopaath.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে কিংবা Muktopaath অ্যাপ ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে যে কেউ এখান থেকে অনলাইন কোর্স করতে পারেন এবং সফলভাবে কোর্স সম্পন্নকারীকে অনলাইন সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।(২) কিশোর বাতায়নমূলত কিশোর-কিশোরীদের জন্য উপযোগী একটি ওয়েবসাইট কিশোর বাতায়ন। বাংলাদেশ সরকারের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এর একটি উদ্যোগ যা ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু হয়। কিশোরকিশোরী বা ১৩ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সী শিক্ষার্থীরা দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে http://konnect.edu.bd/ এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অ্যাকাডেমিক পাঠ, জীবন দক্ষতা অর্জন, প্রিয় লেখকের বই পড়ার সুযোগ, অ্যাকাডেমিক অ্যাসাইনমেন্টসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে।(৩) টেন মিনিটস স্কুল২০১৫ সালে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে টেন মিনিটস স্কুলের যাত্রা শুরু। “শেখো, অনুশীলন করো এবং উন্নত হও” এই স্লোগান নিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে শুরু হয়েছিল অনলাইন স্কুলটির পথচলা। কোন শিক্ষার্থীর যদি শেখার আগ্রহ ও পূর্ণ ইচ্ছা থাকে তাহলে সে যে প্রান্ত থেকেই আসুক না কেন এবং তার আর্থিক অবস্থা যেমনই হোক না কেন, তাকে সর্বোচ্চ শিক্ষাদান করা উচিত। আর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন টেন মিনিটস স্কুলের কর্মীরা। মুক্ত এবং উন্নত শিক্ষা সবার জন্য - এ লক্ষ্যেই এগোচ্ছে স্কুলটি। টেন মিনিটস স্কুলের https://10minuteschool.com/ ওয়েবসাইট বা অ্যাপে প্রবেশ করে স্বল্পমূল্যে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক পাঠ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিং, ইংরেজি প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন সম্ভব। সেই সাথে https://www.youtube.com/channel/UCL89KKkLs0tZKld-iIS3NGw - এই ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে যে কোন শিক্ষার্থী বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় অ্যাকাডেমিক পাঠের সহায়তা পেতে পারে।(৪) খান অ্যাকাডেমি বাংলাযে কোন স্থানে সবার কাছে বিনামূল্যে বিশ্বমানের শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে খান অ্যাকাডেমির ওয়েবসাইট যাত্রা শুরু হয়। সে সময় ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ছিল ইংরেজিতে। ২০১৬ সালে বাংলা ভাষায় খান অ্যাকাডেমির নতুন পথচলা আরম্ভ করে। মূলত গণিত এবং কম্পিউটার শিক্ষা - এই দুইটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে খান অ্যাকাডেমির বিষয়বস্তু তৈরী করা হয়েছে। https://bn.khanacademy.org/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন ব্যক্তি জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। খান অ্যাকাডেমির কন্টেন্টসমূহ দেশি-বিদেশি খ্যাতনামা শিক্ষাবিদগণ তৈরি করেছেন।       

আরও জানুন
Issue area ৯৯৯

আপনার পরিবারের কোন সদস্য গভীর রাতে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দরকার। কিন্তু এতো রাতে আপনি কোথাও কোন যানবাহন খুঁজে পাচ্ছেন না। তখনই আপনার মনে পড়ল ‘জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯’ - এর কথা। কালক্ষেপণ না করে কল দিলেন ৯৯৯ – এ। কিছুক্ষণের মধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স এসে পড়ল আপনার বাসার সামনে।৯৯৯ - জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর। এই নম্বরে ফোন দিয়ে জরুরী পুলিশি সহায়তা, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিস সহায়তা পাওয়া যায়। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে চালু করা হয়েছে এই জরুরি সেবা নম্বর। দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে যেকোন নাগরিক জরুরি প্রয়োজনে এই নম্বরে ফোন করে প্রয়োজনীয় জরুরি সহায়তা গ্রহণ করতে পারবেন। টেলিফোন বা মোবাইল থেকে এই নম্বরে ফোন করা যাবে এবং ফোন করার জন্য কোন টাকার প্রয়োজন হবে না। বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের বন্ধু। জরুরি প্রয়োজনে জনগণকে সহায়তা করা পুলিশের কর্তব্য। পুলিশি সহায়তা সহজে প্রাপ্তির মাধ্যম ৯৯৯ নম্বরটি। কেউ যদি কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চুরি, ছিনতাই, বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন বা কোন বেআইনী কাজের সম্ভাবনা দেখেন তাহলে থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে পুলিশ নিয়ে আসার আগেই বেআইনি কাজটি সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এমতাবস্থায় ফোন কলের মাধ্যমে খুব দ্রুত সমাধান পাওয়া সম্ভব। ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অবৈধ কার্যকলাপ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলেই দ্রুত পুলিশ হাজির হবে জনগণের কাছে। পুরো প্রক্রিয়ায় অভিযোগকারীর নাম গোপন রাখা হয় তাই চিন্তার কিছু নেই। কল সেন্টারটি ২৪ ঘন্টাই চালু থাকে অর্থাৎ দিন-রাত যে কোন সময়ই ৯৯৯ - এ কল করে জরুরি সহায়তা পাওয়া যাবে।৯৯৯ - এ ফোন করে সহায়তার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয় যেমন :·         ৯৯৯ - এ অপ্রয়োজনে বা কৌতুহলবশত ফোন করা উচিত নয়। আপনার সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা বলতে গেলে কর্তৃপক্ষ হয়তো কোন প্রয়োজনীয় ফোন রিসিভ করতে পারবেন না।·         সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সাহায্যপ্রার্থীর ঠিকানা। ফোন করে প্রয়োজন অনুযায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হবে। যথাযথ ঠিকানা না পেলে সাহায্যকারী সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে পৌছাতে ব্যর্থ হবেন।·         সাহায্যের জন্য ৯৯৯ - এ ফোন করার পর কর্তৃপক্ষ কিছু প্রশ্ন করতে পারেন। সে সকল প্রশ্নের সঠিক এবং যথাযথ জবাব দিতে হবে।·      ·         ৯৯৯ - এ ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স সহায়তা পাওয়া যায়। তবে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।·         ৯৯৯ - এ ফোন করে সাহায্য চাওয়ার পর অবশ্যই ফোন চালু রাখতে হবে। সাহায্যকারী কর্তৃপক্ষ যে কোন প্রয়োজনে সাহায্যপ্রার্থীর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। 

আরও জানুন
Issue area ৩৩৩

ধরা যাক, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কিছু তথ্য প্রয়োজন। এজন্য আপনার এলাকার নির্বাচন কমিশন অফিসের সাথে যোগাযোগের নম্বরটি খুঁজছেন কিন্তু কোথাও পাচ্ছেন না। এমতাবস্থায় আপনার করণীয় কী? অথবা আপনার প্রতিবেশী দরিদ্র বয়স্কা মহিলা বেশ কিছুদিন যাবত বিধবা ভাতা পাচ্ছেন না। আপনি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাতে চাচ্ছেন। কিন্তু কাকে জানালে মহিলাটি উপকৃত হবেন? এই জিজ্ঞাসাগুলোর জবাব আপনি পাবেন ৩৩৩ নম্বরে কল করে।  ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য সব শ্রেণির মানুষের কাছে সরকারি সেবা ও তথ্য পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে “সরকারি তথ্য ও সেবা সবসময়” এই স্লোগানকে সাথে নিয়ে ‘জাতীয় সেবা কল সেন্টার – ৩৩৩’ এর যাত্রা শুরু। দেশের নাগরিকরা ৩৩৩ নম্বরে এবং প্রবাসীরা ০৯৬৬৬৭৮৯৩৩৩ নম্বরে ফোন করে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।জাতীয় সেবা কল সেন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সরকারি সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতি, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য, বিভিন্ন এলাকার পর্যটনের স্থানসমূহ এবং বিভিন্ন জেলা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। এছাড়াও কল সেন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে প্রতিকারের জন্য জেলাপ্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তথ্য প্রদান ও অভিযোগ জানানো যাবে এই নম্বরে ফোন করার মাধ্যমে।এমনকি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা মহামারির সময়ে কেউ যদি খাদ্য সংকটে পড়ে তাহলে এই নম্বরে ফোন করে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা পাওয়া যাবে। ৩৩৩ - এ ফোন করলে প্রতি মিনিটে ভ্যাট ও সারচার্জ সহ ০.৭৩ টাকা খরচ হবে।জাতীয় সেবা কল সেন্টার ৩৩৩ - এ কোন সেবা প্রাপ্তির জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত :·         অপ্রয়োজনে বা কৌতুহলবশত ফোন করা উচিত নয়।·         যে কোন তথ্যের জন্য ৩৩৩ - এ ফোন করার পর কর্তৃপক্ষ কিছু প্রশ্ন করতে পারেন। সে সকল প্রশ্নের সঠিক এবং যথাযথ জবাব দিতে হবে।·         সামাজিক সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানানোর ক্ষেত্রে সমস্যাকারীর নাম ও যে স্থানে সমস্যা সংঘঠিত হচ্ছে বা হতে পারে এই তথ্যগুলো সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।·         খাদ্য সহায়তার জন্য সঠিকভাবে সাহায্যপ্রার্থীর ঠিকানা প্রদান করতে হবে। সঠিকভাবে ঠিকানা প্রদান করতে না পারলে সঠিক স্থানে সময়মত সহায়তা পৌছানো সম্ভব হয় না।·         ৩৩৩ - এ ফোন করে তথ্য বা খাদ্য সহায়তা চাওয়ার পর বা কোন সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে অভিযোগ জানানোর পর অবশ্যই ফোন চালু রাখতে হবে। সাহায্যকারী কর্তৃপক্ষ যে কোন প্রয়োজনে সাহায্যপ্রার্থীর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

আরও জানুন