Issue area অনলাইনে কেনাকাটা- দারাজ, চালডাল

এই আধুনিক জীবনে আমাদের ব্যস্ততা বাড়ার সাথে সাথে কেনাকাটার তুলনামূলক সহজ অনলাইনে কেনাকাটার প্রচলন অনেক বেড়েছে। এক্ষেত্রে বাজারে যাবার সময়টুকু পুরোপুরি সাশ্রয় করে ফেলা  যায়। আবার যদি কেউ অসুস্থতার জন্য বাইরে যেতে না পারেন তাহলে অতি সহজে অনলাইনে কেনাকাটার মাধ্যমগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই সময়ে অনেকে এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করছেনও। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অনলাইন কেনাকাটার ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলো ক্রমশই জনপ্রিয়তা লাভ করছে। বাংলাদেশ অনলাইন কেনাকাটার জন্য প্রচলিত কয়েকটি মাধ্যম হচ্ছে দারাজ, পাণ্ডা মার্ট, চালডাল, বিক্রয় ডট কম ইত্যাদি। দারাজ বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে প্রচলিত একটি ই-কমার্স সাইট। এছাড়া গৃহস্থালি দ্রব্য কেনার জন্যে চালডাল একটি ভালো অপশন। দারাজে কেনাকাটা১) আপনার ফোনে যদি এখনও নতুন দারাজ অ্যাপটি না থাকে তবে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে ইন্সটল করে নিতে পারেন। অথবা অ্যাপ ব্যবহার করতে না চাইলে দারাজের ওয়েবসাইটে গিয়েও একই পদ্ধতিতে কেনাকাটা করতে পারবেন। ২) অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। ৩) সাইটে বা অ্যাপে উপরের সার্চ বার কিংবা ব্যানারের নিচে একেবারে ডান কোণার লাল কালি চিহ্নিত ‘ধরণ’ বা ‘Categories’ মেনুর মাধ্যমে পছন্দের পণ্যটি নির্বাচন করুন। ৪) যেখানে আপনার পণ্য ডেলিভারি নিতে চান সেই ঠিকানা যদি পরিবর্তন করতে চান, তবে প্রোডাক্ট পেইজে ডেলিভারি অপশনের নিচের দেয়া ঠিকানার পাশে ‘পরিবর্তন করুন’ বা ‘CHANGE’ বাটনে ক্লিক করে সহজেই ডেলিভারির ঠিকানা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। তারপর নিচের ‘এখনই কিনুন’ বা ‘Buy Now’ বাটনে ক্লিক করে চেক-আউট পেইজে যান। ৫) চেক-আউট পেইজের নিচের দিকে লাল কালি চিহ্নিত ঘরে ভাউচার কোডটি (যদি থাকে) লিখে ‘প্রযোজ্য’ বা ‘APPLY’ বাটনে ক্লিক করুন। এরপর একেবারে নিচের ‘অর্ডার প্লেস করুন’ বা ‘Place Order’ বাটনে ক্লিক করুন। ৬) এবার পেমেন্ট মেথড সিলেকশন পেইজে তিনটি অপশন ‘ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড’, ‘বিকাশ’ ও ‘নগদ মূল্যে ডেলিভারি (ক্যাশ অন ডেলিভারি)’-এর মধ্য থেকে নিজের সুবিধা অনুযায়ী মূল্য পরিশোধের মাধ্যমটি নির্বাচন করুন। ৭) নির্বাচিত মেনুর মাধ্যমে নির্দিষ্ট পেমেন্ট পেইজে গেলে একেবারে নিচে ‘এখন পরিশোধ করুন’ বা ‘Pay Now’ বাটন দেখতে পাবেন। ক্যাশ অন ডেলিভারির ক্ষেত্রে সেখানে ক্লিক করলেই আপনার অর্ডারটি সফলভাবে গ্রহণ করে আপনাকে একটি অর্ডার নাম্বার প্রেরণ ও কবে নাগাদ আপনার অর্ডারটি ডেলিভার করা হবে তা জানিয়ে দেয়া হবে। ভবিষ্যতের জন্য অর্ডার নাম্বারটি সংরক্ষণ করুন। সেই সাথে আপনার ফোনে বা মেইলে একটি কনফার্মেশন মেসেজ পৌঁছে যাবে। ৮) এছাড়া বিকাশ পেমেন্ট মেথড নির্বাচন করলে পরবর্তী পেইজে আপনার অর্ডারটি গ্রহণ করে একটি রেফারেন্স নাম্বার প্রদান করা হবে। এরপর পেইজের নিচে উল্লেখিত পেমেন্টের নিয়মাবলীসমূহ অনুসরণ করে নিজের মোবাইল থেকে উক্ত রেফারেন্স নম্বরটি ব্যবহার করে বিকাশে পেমেন্ট করুন। ৯) কিংবা ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড নির্বাচন করে পরের পেইজে আপনার কার্ডের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে কার্ডে অনলাইন পেমেন্ট নিশ্চিত করুন। চালডালে কেনাকাটার ধরণও প্রায় দারাজের মতই। এরকম ধাপ অনুসরণ করে চালডালেও সহজে কেনাকাটা করতে পারবেন।

আরও জানুন
Issue area অনলাইনে বিক্রয়- বিক্রয় ডট কম

বাস্তবে কেনাবেচার জন্য আমরা বাজারে কিংবা দোকানে যাই। কিন্তু ঘরে বসেই এখন অনলাইনে কেনাবেচা করা যায় খুব অশ্বজে। বাংলাদেশে bikroy.com অনলাইনে কেনাবেচার জন্য একটি মাধ্যম। এটি ওয়েবসাইটের পাশাপাশি স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমেও ব্যবহার করা যায়। অ্যাপে প্রবেশ করার পর ভাষা হিসাবে বাংলা সিলেক্ট করুন। এরপর  “একটি এড পোস্ট করুন” এবং “হয়ত পরে” এই দুইটি অপশন দেখা যাবে। প্রথম অপশনে ক্লিক করলে সেটি আপনাকে এড পোস্টের পূর্বে অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে বলবে। “হয়ত পরে” এই অপশনটিতে ক্লিক করলে আপনি অ্যাকাউন্ট না খুলেই ব্যবহার করতে পারবেন। কোনকিছু ক্রয় করার জন্য অ্যাকাউন্ট থাকা জরুরি না। অ্যাকাউন্ট ছাড়াই বিভিন্ন পণ্যের ব্যাপারে জানা যাবে এবং বিক্রেতার সাথে যোগাযোগের মোবাইল নাম্বার দেখা যাবে। তবে কোনকিছু বিক্রি করার জন্য পোস্ট করতে চাইলে অ্যাকাউন্ট অবশ্যই প্রয়োজন হবে। অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্টঅ্যাকাউন্ট খুলার জন্য আপনাকে অ্যাপের “একটি এড পোস্ট করুন” এই অপশন অথবা পরবর্তীতে প্রোফাইল আইকন সিলেক্ট করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ওয়েবসাইট থেকে বা অ্যাপ থেকে প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করলে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য তিন ধরনের অপশন থাকবে। ১।  Continue With Facebook যা ফেসবুকের প্রোফাইল থেকে তথ্য নিয়ে হবে। এখানে ক্লিক করলে আপনার মোবাইলে ফেসবুক অ্যাপ বা ব্রাউজারে ফেসবুক দেখাবে। যদি আগেই লগইন করা থাকে তাহলে আপনার ফেসবুক থেকে বিক্রয় ডট কমকে কিছু তথ্য যেমন- নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি ব্যবহার করতে দেয়ার অনুমতি চাইবে। অনুমতি দিলে আপনার অ্যাকাউন্ট চালু হয়ে যাবে। ফেসবুক লগইন করা না থাকলে লগইন অপশন দেখাবে। সেখানে ফেসবুকে প্রথমে লগইন করে নিতে হবে। তারপর আপনার দেয়া পোস্ট দেখে ক্রেতারা কল দেয়ার জন্য একটি মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। এখানে একাধিক মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করা যাবে। নাম্বার দেয়ার পর সেই নাম্বারে একটি এসএমএস পাঠাবে ভ্যারিফিকেশন কোড দিয়ে। এই কোডটা নাম্বারের পাশে প্রবেশ করানোর জন্য একটি জায়গা থাকবে। কোডটি সেখানে দিলেই নাম্বারটি ভ্যারিফাইড হয়ে যাবে। প্রোফাইল ছবিতে ক্লিক করলে সেখানে আপনার পছন্দমত ছবি ব্যবহার করতে পারবেন। ২। Continue With Google যেখানে ক্লিক করলে আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য নিয়ে বিক্রয় ডট কমের প্রোফাইল তৈরি হবে। এখানেও ফেসবুকের মতই আপনাকে গুগলের অ্যাকাউন্টে নিয়ে যাবে এবং প্রোফাইলের কিছু তথ্য নেয়ার অনুমতি চাইবে। গুগল অ্যাকাউন্ট লগইন করা না থাকলে লগইন করার অপশন দেখাবে। সেখানে লগইন করে নিলেই আপনাকে অনুমতি দেয়ার ডায়ালগ বক্স দেখাবে। অনুমতি দিলেই আপনার বিক্রয় ডট কমের প্রোফাইল খুলবে। পূর্বের মতই ছবি এবং মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। মোবাইল নাম্বারটি ভ্যারিফাই করে নিতে হবে এসএমএসের ভ্যারিফিকেশন কোড দিয়ে। ৩।  Continue With Email নামে আরেকটি অপশন থাকবে। এখানে ক্লিক করলে লগইন পাসওয়ার্ড এবং ইমেইল চাইবে। তবে আপনি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে নিচের দিক থেকে Sign Up এ ক্লিক করবেন। তারপর ইমেইল, নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। আপনার ইমেইলে একটি ভ্যারিফিকেশন মেইল পাঠাবে সেখান থেকে ক্লিক করে বা ভ্যারিফিকেশন কোড দিয়ে ইমেইলটি ভ্যারিফাই করে নিতে হবে। কোনকিছু ক্রয় করাবিক্রয় ডট কম থেকে কোনকিছু ক্রয় করতে চাইলে প্রথমেই সে ওয়েবসাইট বা অ্যাপে প্রবেশ করতে হবে। আপনার লোকেশন বা অবস্থান বাছাই করে নিন প্রথমেই। বিভাগীয় অঞ্চল থেকে জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন অঞ্চল বাছাই করে সেই অঞ্চলের বিভিন্ন ক্যাটাগরি ভিত্তিক পোস্টগুলো দেখা যাবে। সমগ্র বাংলাদেশ থেকেও বিভিন্ন পোস্ট দেখা যাবে। ক্যাটাগরি বাছাই করলে শুধু সেই নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির পোস্টগুলো দেখাবে। যেমন Mobiles ক্যাটাগরি বাছাই করলে শুধু মোবাইল সংক্রান্ত পোস্টগুলো দেখা যাবে। প্রতিটি পোস্টে পণ্যের কিছু ছবি থাকে। একদম নতুন বা ব্যবহৃত পণ্য সবই এখানে পাওয়া যাবে। পণ্যের পাশাপাশি কিছু তথ্য থাকে সেটি সম্পর্কে। এসব তথ্য দেখে পছন্দ হলে সেখানে যোগাযোগের মোবাইল নাম্বার পাওয়া যাবে। এই নাম্বারে কল করে বিক্রেতার সাথে কথা বলে নিয়ে পণ্য ক্রয়ের ব্যাপারে পরবর্তী কথা বলা যায়। চ্যাট অপশনটি ব্যবহার করে সেখানে বিক্রেতার সাথে চ্যাটের মাধ্যমে কথা বলা যাবে। সেক্ষেত্রে আপনার বিক্রয় ডট কমের অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হবে।কোনকিছু বিক্রি করাপণ্য বিক্রি করতে চাইলে Post Your Ad এই অপশনে ক্লিক করতে হবে। সেখানে আপনার পণ্যের বিবরণ লিখে কিছু ছবি যুক্ত করে দিন। এতে ক্রেতাদের পণ্য সম্পর্কে ধারণা করা সহজ হবে। আপনার ভ্যারিফাই করা নাম্বারের পাশাপাশি আপনি চাইলে অন্যকোন নাম্বারও এখানে যুক্ত করে দিতে পারেন যোগাযোগের জন্য। আপনার চাহিদামত মূল্য ঠিক করে নিন। ব্যবহৃত পণ্যের ক্ষেত্রে মূল্য সবসময়ই ক্রয়মূল্যের চেয়ে কম হতে হবে। মূল্যের পাশে Negotiable ক্লিক করলে আপনার পণ্যের মূল্য কিছুটা কমাতে পারেন এমনটা ধারনা পাবেন ক্রেতারা। এরপর পোস্ট করলে সেটি বিক্রয় ডট কম কর্তৃপক্ষ যাচাই বাছাই করে এপ্রুভ করে পাবলিশ করলে এই ওয়েবসাইটের সকলেই সেটি দেখতে পারবে।

আরও জানুন
Issue area অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়ার প্রক্রিয়া

করোনাকালীন সময়ে দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে এবং লকডাউনের সময় বেশিরভাগ কাজই অনলাইনে চালিয়ে যেতে হয়েছিলো। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো ডাক্তার দেখানো। ডাক্তার, নার্স বা  হাসপাতালের সাথে যুক্ত সকলেই নিজেদের নিরাপত্তার জন্যে রোগী দেখা বন্ধ করে দিচ্ছিলেন। আবার কিছু কিছু হাসপাতাল শুধুই কোভিডের রোগীর জন্যেই নিয়োজিত থাকায় অন্য রোগীরা সেখানে যেতে পারতেন না। এমন একটি অবস্থায় অনলাইনে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়ার প্রক্রিয়াটা খুব কার্যকর একটা পদ্ধতি ছিলো। কিন্তু জানার অভাব এবং ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের অভিজ্ঞতার অভাবে অনেকেই এই সেবা নিতে পারেননি। তবে করোনার আগমনের সাথে সাথে বাংলাদেশে ডিজিটাল মাধ্যমের ব্যবহার এবং এই মাধ্যমের উপর নির্ভরতা বেড়ে গেছে অনেক। ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট, অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করা থেকে শুরু করে অনেককিছুই এখন অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইন নির্ভর। তবে আরও আগে থেকেই অনলাইনে বা হটলাইনে ফোনকলের মাধ্যমে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিশ্চিত করার সুযোগ অনেক হাসপাতালেই ছিলো। এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে টেলিমেডিসিন সেবা।অনলাইনে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিবে কীভাবে?১। বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকেডক্টর কই ডট কমক) https://doctorkoi.com/  এই ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম এবং মোবাইল নাম্বার দিয়ে সাইন আপ করলে কাঙ্ক্ষিত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন।খ) কিংবা হটলাইন নাম্বারে (+৮৮০৯৬৬৬৭৭৭১১) ফোন করেও অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন। সেজন্য যা যা করবে –  হটলাইন নাম্বারটিতে ফোন করতে হবে  একজন এজেন্ট ফোন ধরবেন, তাকে কাঙ্ক্ষিত ডাক্তারের নাম এবং রোগীর তথ্য দিবেন।  তারপর এজেন্ট এপয়েন্টমেন্টের জন্যে সময় ঠিক করবেন।  অনলাইন গেটওয়ের মাধ্যমে ডাক্তারের ফি অগ্রীম পাঠিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিশ্চিত করতে হবে।  এরপর এপয়েন্টমেন্টের সময় এবং অন্যান্য তথ্য ফোনে মেসেজ করে জানিয়ে দেয়া হবে।  রোগীর নাম্বারে ফোন দিয়ে এজেন্ট রোগীকে ভিডিও বা অডিও কলের অ্যাপ তৈরি রাখতে সহযোগিতা করবেন।  ভিডিও বা অডিও কল করার অ্যাপের মাধ্যমে ডাক্তার ও রোগীকে যুক্ত করে দেয়া হবে।  ডাক্তারের থেকে প্রেসক্রিপশন সংগ্রহ করে রোগীকে ইমেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়া হবে।  পরবর্তীতে অন্য কোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে হলে এজেন্টের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যায়।এমন আরও কয়েকটি ওয়েবসাইট যেমন https://www.doctorsbd.com/  এবং https://www.daktarbhai.com/  এর মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন। সবগুলোর অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়ার প্রক্রিয়া কমবেশি একইরকম। ২। বিভিন্ন হাসপাতালের নিজস্ব অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট সেবার মাধ্যমেইউনাইটেড হাসপাতাল(ঢাকা)  টেলিমেডিসিন সেবার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেবার জন্যে ১০৬৬৬ বা ০২ ২২ ২২ ৬২ ৪৬৬ নাম্বারে ফোন করতে হবে।  এপয়েন্টমেন্টের সময় নিশ্চিত হবার পর বিকাশ বা ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ফি পাঠিয়ে দিতে হবে।  ফি পাঠিয়ে দেয়ার পর ফোন করে নিশ্চিত করতে হবে। এপয়েন্টমেন্টের ৫-৬ ঘণ্টা আগে ফি পরিশোধ না করলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট অনিশ্চিত হয়ে যাবে।  অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিশ্চিত হলে পর স্কাইপ বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ডাক্তার দেখানো যাবে।ল্যাবএইড হাসপাতালল্যাব এইড হাসপাতালের ২৪ ঘণ্টা সচল হটলাইন সেবা ১০৬০৬ এ কল করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন। তবে ডাক্তার দেখানোর জন্যে হাসপাতালে যেতে হবে।পপুলার হাসপাতাল  পপুলার হাসপাতালের ধানমন্ডি শাখায় ফ্রি টেলিমেডিসিন সেবা পাবে শনি-বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত  এবং শুক্রবারে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত। সেজন্য ০৯৬১৩৭৮৭৮০০ এই সময়ের মধ্যে এই নাম্বারে ফোন করতে হবে।  বিভিন্ন শাখার হটলাইন নাম্বারে ফোন করেও ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যাবে। সবগুলো শাখার হটলাইন নাম্বার পাবেন এখানে- https://www.populardiagnostic.com/call-for-appointment?  অনলাইনে ডাক্তার দেখাতে চাইলে ‘অনলাইন ডক্টর অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ সেকশনে গিয়ে হাসপাতালের কোন শাখায় দেখাতে চান সে শাখার নাম, ডাক্তারের নাম, তারিখ ইত্যাদি নির্বাচন করে আপনার নাম এবং ফোন নাম্বার দিতে হবে।-         এরপর বিকাশের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেয়ে যাবেন।-         এভাবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে সরাসরি গিয়ে ডাক্তার দেখাতে চাইলে তারও সুযোগ আছে।-         এই লিঙ্কে সেই সেবা পাবেন  https://populardiagnostic.com/booking/appointment এছাড়াও অন্যান্য হাসপাতাল যেমন বারডেম হাসপাতাল, মডার্ন হাসপাতাল, ইবনে সিনা হাসপাতাল, স্কয়ার হাসপাতালে অনলাইনে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়ার ব্যবস্থা আছে। এসব হাসপাতালের ওয়েবসাইটে গেলেই এসব তথ্য খুব সহজেই পাওয়া যাবে।

আরও জানুন
Issue area অনলাইনে ট্রেন ও বাসের টিকেট বুকিং এবং টিকেট ক্রয় প্রক্রিয়া

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে আমাদের জীবনযাত্রা এতই সহজ হয়ে গেছে যে এখন ট্রেন, বাস, লঞ্চ এবং বিমানের টিকেট কাটার জন্য সশরীরে যেতে হয়না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কাটার ঝামেলাও এখন নেই। শুধু একটি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার থাকলেই আপনি অধিকাংশ টিকেট বাড়িতে বসেই করে ফেলতে পারবেন।ট্রেনের টিকেট ক্রয় করবেন কীভাবে?ট্রেনের টিকেট কেনার জন্যে ‘রেলসেবা’ নামে বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি অ্যাপ আছে। এখান থেকে খুব সহজেই ট্রেনের টিকেট কেনা যাবে, বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-সেবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ট্রেনের টিকেট করা যাবে। এবং আরেকটি অপশন হচ্ছে বিকাশ।১। অ্যাপের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট কেনা  প্রথমেই, গুগল প্লে স্টোরে ‘Rail Sheba’ লিখে সার্চ দিয়ে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন।  অ্যাপটি ডাউনলোড হয়ে গেলে ‘Sign Up’ এ ক্লিক করে ইমেইল এড্রেস, ফোন নাম্বার, নাম, পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।  রেজিস্ট্রেশনের পর ইমেইলে ভ্যারিফিকেশন লিঙ্ক পাঠাবে। এই লিঙ্কে ক্লিক করলেই অ্যাকাউন্ট সচল হয়ে যাবে।  অ্যাকাউন্ট সচল হবার পর অ্যাকাউন্টে গিয়ে প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে হবে। সেজন্য আপনার জন্মতারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার বা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে এই অ্যাপে লগ ইন করে ট্রেনের টিকেট কাটা, ট্রেনের সময়সূচী জানা, প্রয়োজনে ট্রেনের বগিও দেখে নেয়া যাবে।  টিকেট কেনার জন্য ‘Purchase’ এ ক্লিক করে যাত্রা শুরু ও শেষের স্টেশন, তারিখ, যাত্রী সংখ্যা এবং আসনের শ্রেণী (শোভন, শো: চেয়ার, এসি, স্নিগ্ধা) নির্বাচন করতে হবে। তাহলে এই তারিখে কোন কোন ট্রেন আছে, সময় কখন সেসব বিস্তারিত তথ্য আসবে। এমনকি পছন্দসই সিটও নির্বাচন করে নিতে পারবেন।  একজন সর্বোচ্চ ৪ টি টিকেট কাটতে পারবে। সেজন্য এর বেশি সিট নির্বাচন করা যাবে না। এবং একটি অ্যাকাউন্ট দিয়ে এক সপ্তাহে ২ বারের বেশি টিকেট ক্রয় করা যাবেনা।  সিট নির্বাচন করে ‘Continue’ এ ক্লিক করলে ভাড়াসহ সকল তথ্য চলে আসবে। ভাড়ার সাথে ব্যাংক চার্জ এবং ভ্যাট যুক্ত হয়ে পুরো পরিমাণটা দেখাবে।  ‘pay now’ এ ক্লিক করলে ডিজিটাল পেমেন্টের সুযোগ দিবে। এখানে বিকাশ, রকেট, ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড, নেক্সাস কার্ড দিয়ে ভাড়া পরিশোধের সুযোগ আছে।  পছন্দসই মাধ্যম নির্বাচন করে অ্যাকাউন্ট নাম্বার ও পিন নাম্বার দেয়ার পর একটি কোড আসবে ফোনে। এই কোড দিলেই টিকেট কেনা হয়ে গেলো। আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে ভাড়ার সমপরিমাণ টাকা কেটে নিবে এবং ৩০ মিনিটের মধ্যে মেইল করে টিকেট পাঠিয়ে দিবে। আবার অ্যাপে গিয়ে ‘History’ তে ক্লিক করলেও টিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন। ২। ই-সেবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ট্রেনের টিকেট কেনা  বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-সেবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ট্রেনের টিকেট কেনা যাবে।  বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-সেবা ওয়েবসাইট https://www.esheba.cnsbd.com এ প্রবেশ করতে হবে।  এখানে প্রবেশ করে নাম, ইমেইল এড্রেস, মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।  রেজিস্ট্রেশনের পর জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার দিয়ে প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে হবে।  রেজিস্ট্রেশন করে অ্যাকাউন্ট চালু হয়ে যাবার পর ট্রেনের টিকেট কেনা যাবে।  টিকেট কেনার জন্যে উপরের ওয়েবসাইটে গিয়ে যাত্রার স্থান এবং যাত্রা শুরুর স্থান নির্বাচন করতে হবে।  তারিখ, আসনের ধরণ টিকেটের সংখ্যা নির্বাচন করলে এই তারিখে সচল সকল ট্রেনের তালিকা এবং সময়সূচি আসবে।  ট্রেন নির্বাচন করার জন্যে ‘Details’ এ ক্লিক করে ‘Availability’ নির্বাচন করলে এখনো অবিক্রীত টিকেটের সংখ্যা এবং ভাড়া দেখা যাবে।  ‘Purchase’ এ ক্লিক করলে লগইন এর অপশন দেখাবে। লগইন করলে অনলাইন গেটওয়ের মাধ্যমে ভাড়া দেয়ার পরে ইমেইল ঠিকানায় টিকেট পাঠিয়ে দেয়া হবে।  যাত্রার সময় এই টিকেট প্রিন্ট করে নিতে পারো অথবা স্টেশনের টিকেট কাউন্টারে এই ই-টিকেট দেখালে প্রিন্ট করা কাউন্টার টিকেট দিবে।৩। বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে  ট্রেনের টিকেট বিকাশ অ্যাপ দিয়েও কিনতে পারবেন।  টিকিট কিনতে বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করে অ্যাপের টিকেট আইকন থেকে ট্রেন নির্বাচন করতে হবে।  এখানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ‘ই-টিকেটিং সার্ভিস’ স্ক্রিন আসবে।  এখানে যাত্রার শুরুর স্থান, গন্তব্য, তারিখ, টিকেটের সংখ্যা এসব তথ্য দিয়ে ট্রেন নির্বাচন করতে হবে।  গ্রাহকের প্রয়োজনীয় টিকেট থাকলে ‘purchase’ এ যেতে হবে।  রেলওয়ের ওয়েবসাইট বা অ্যাপের নিবন্ধিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে।  এরপর বিকাশ দিয়ে ভাড়া দেয়ার গেটওয়ে আসবে।  গেটওয়েতে বিকাশ নম্বর দিলে ফোনে একটি ভ্যারিফিকেশন কোড আসবে।  এই কোড ও পিন নাম্বার দিয়ে টিকেট নিশ্চিত করলে ইমেইল করে টিকেট পাঠিয়ে দেয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে রেলওয়ের ই-টিকেটিংয়ে অ্যাকাউন্ট করে রাখতে হবে। বাসের টিকেট কিনবে কীভাবে?বাসের টিকেট কেনার জন্যে তেমন কোন বিশেষায়িত মাধ্যম নেই। প্রত্যেক বাস কোম্পানীর জন্যে আলাদা নিয়ম। অনেক বাস কোম্পানীর জন্য অনলাইনে টিকেট কেনার কোন ব্যবস্থা নেই।  অনলাইনে বাসের টিকেট কেনার কিছু মাধ্যম জেনে নিই -১। সহজ ডট কম থেকে (https://www.shohoz.com/)   শুরুতেই সহজ অ্যাপ বা ওয়েবে গিয়ে যাত্রা শুরু ও শেষের শহরের নাম, যাত্রার তারিখ নির্বাচন করলে এই দুই শহরে যাতায়াতকারী সকল বাসের নাম, ভাড়া এবং যাত্রার সময়সূচীর তালিকা আসবে।  এখান থেকে বাস নির্বাচন করে বাসের পছন্দসই সিট নির্বাচন করতে হবে।  সিট নির্বাচনের পর আপনার পূর্ণনাম, ফোন নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস দিতে হবে।  এরপর অনলাইন গেটওয়ের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করলে মেইলের মাধ্যমে টিকেট পেয়ে যাবেন।  এখানে বিকাশ, রকেটসহ অনেকগুলো অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যমে ভাড়া দেয়ার ব্যবস্থা আছে।২। গ্রিন লাইনের ওয়েবসাইট থেকে  গ্রীনলাইনের ওয়েবসাইট https://greenlinebd.com/ এ গিয়ে যাত্রা শুরুর স্থান, গন্তব্য এবং যাত্রার তারিখ নির্বাচন করলে ভাড়ার পরিমাণ, বাসের সময়সূচী এবং বিভিন্ন ধরণের বাসের তালিকা আসবে।  এখান থেকে পছন্দসই একটি বাস নির্বাচন করলে সিট বাছাইয়ের সুযোগ দেবে।  এখান থেকে সিট নির্বাচন করে পরের ধাপে গিয়ে নাম, ফোন নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস দিতে হবে।  এরপর ‘Proceed to Pay’ তে ক্লিক করলে অনলাইন মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধের অপশন দেখাবে। সেগুলোর মধ্যে আপনার সুবিধাজনক মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করলে ইমেইলে ই-টিকেট পাঠিয়ে দেয়া হবে।  ই-টিকেট যাত্রার আগে কাউন্টারে দেখালে প্রিন্টেড টিকেট দিয়ে দিবে।

আরও জানুন
Issue area উবার, পাঠাও, সহজ অ্যাপ ব্যবহার

কোথাও যেতে হলে আগে প্যাসেঞ্জার হিসেবে আমাদের গাড়ি, রিকশা কিংবা সিএনজি খুঁজতে হত। এরপর চালকের সাথে কথা কথা বলে রাজি হলে যাত্রা শুরু। অনেক সময় স্ট্যান্ডে গিয়ে রিকশা কিংবা গাড়ি নিয়ে আবার বাসায় এসে তারপর অন্যদের নিয়ে রওনা হতে হয়। কখনো আবার জরুরী মূহুর্তে গাড়ি পাওয়া যায় না, চালক অন্য দিকে যেতে চায়, অনেকে বেশি ভাড়া দাবী করে। এসব সমস্যার সমাধান যদি আমরা ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে করে ফেলতে পারতাম তবে কতই না ভালো হত। আর সেই চিন্তা থেকেই পাঠাও ও উবারের মত সেবা তৈরি করা হয়েছে। পাঠাও, উবার ও সহজ অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজে বাসায় বসে খাবার অর্ডার করা থেকে শুরু করে টিকেট কেনা পর্যন্ত অনেকগুলো অতি জরুরি কাজ করা যায়। এর জন্যে প্রয়োজন শুধু একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ। চলুন জেনে নেয়া যাক এসব অ্যাপ থেকে কী কী সেবা পাওয়া যায় এবং সেগুলো কীভাবে ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে।উবার ও পাঠাও অ্যাপ ব্যবহারউবার ও পাঠাও অ্যাপের ধরণ একইরকম। এই দুইটি অ্যাপেই রাইড শেয়ারিং সেবা, ফুড ডেলিভারি, পার্সেল ডেলিভারির সুযোগ আছে। এই দুইটা অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই অতি সহজে এ ধরণের সুবিধাগুলো নিতে পারবেন। এই দুইটি অ্যাপের মধ্যে উবার বিশ্বের অনেকগুলো দেশেই চালু আছে। কিন্তু পাঠাও বাংলাদেশী কোম্পানি।১। রাইড শেয়ারিংযাতায়াতের ক্ষেত্রে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস বাংলাদেশে এখন অনেক জনপ্রিয়। এসব রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে খুব সহজে মোটরবাইক, সিএনজি, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ভাড়া নিয়ে যাতায়াত করা যায়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম এই দুই শহরে রাইড শেয়ারের এই সেবাটি চালু আছে। আবার আপনার যদি মোটরবাইক বা প্রাইভেট কার থাকে তাহলে পাঠাও ড্রাইভার/উবার ড্রাইভার অ্যাপের মাধ্যমে এগুলো দিয়ে আয় করতে পারবেন। সেজন্য গুগল প্লে স্টোর থেকে পাঠাও/উবার ড্রাইভার অ্যাপ ডাউনলোড করে তারপর অ্যাকাউন্ট করতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি করা শেষে উবার/পাঠাওয়ের অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে অ্যাকাউন্ট সচল করতে হবে। একইভাবে রাইড শেয়ারিং সেবা নেয়ার জন্যেও ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট করতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে আলাদা করে কোনরকম ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে না।২। ফুড ডেলিভারিআপনার বাসার আশেপাশের যেকোন রেস্টুরেন্ট থেকে পছন্দসই খাবার হোম ডেলিভারি নিতে পারবেন পাঠাও ও উবার অ্যাপ এর মাধ্যমে। পাশাপাশি গৃহস্থালি জিনিসপত্রও কেনা যায়। এর মাধ্যমে আয় করতে চাইলে প্রয়োজন পরবে একটি ব্যক্তিগত মোটরবাইক বা বাইসাইকেলের। আবার কেউ চাইলে বাসায় কোন খাবার বানিয়ে সেগুলো অ্যাপ দিয়ে ক্রেতার কাছে পাঠাতে পারবেন। সাইকেল বা বাইক নিয়ে খাবার ডেলিভারি দিতে চাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন করার পর অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি এগুলো জমা দিতে হবে।৩। পার্সেল ডেলিভারিশহরের যেকোন প্রান্তে থাকা কাছের মানুষের মাধ্যমে সাথে সাথেই যেকোন পার্সেল পাঠাতে পারবে। সেজন্য অ্যাপ এর মাধ্যমে পণ্যের বিবরণ দেয়ার পর রাইডার কল করতে হবে। রাইডারের কাছে দিয়ে দিলে সেগুলো কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির কাছে নিয়ে যাবে। ফুড ডেলিভারি বা রাইড শেয়ারিং এর মত এখানেও অ্যাকাউন্ট করে আয়ের সুযোগ আছে। পাঠাওয়ের এই সেবার নাম পাঠাও পার্সেল এবং উবারের এই সেবার নাম উবার কানেক্ট।পে-লেটারঃ পাঠাও সম্প্রতি পে-লেটার অপশন চালু করেছে। পে-লেটার মানে হচ্ছে পাঠাও নিয়মিত ব্যবহারকারীকে দুই-তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বাকিতে খাবার আনা এবং রাইড শেয়ারিং এর সুযোগ দিচ্ছে। এবং যে টাকা তাদের পাওনা হবে তা পরিশোধের জন্য আপনাকে ১ মাসের মত সময় দেয়া হবে। গ্রাহক আকর্ষণের জন্য এমন অনেক নতুন ফিচার যুক্ত করছে পাঠাও এবং উবার। সহজ অ্যাপ ব্যবহারএদেশে বেশ জনপ্রিয় একটি অ্যাপ হলো সহজ অ্যাপ। সহজ অ্যাপ দিয়ে বাস ও লঞ্চের টিকেট কেনা যায় এবং এর সাথে সহজ লার্ন বলে ই-বুক পড়ার সুবিধা আছে।১। সহজ বাসসহজ অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের অধিকাংশ জায়গায় যাবার বাসের টিকেট কেনা যাবে। সেজন্য অ্যাপে গিয়ে যাত্রা শুরু ও গন্তব্য স্থান, যাত্রার তারিখ-সময়, যাত্রী সংখ্যা এগুলো নির্বাচন করলে এই রুটে চলা সকল বাসের নাম ও সময় দেখাবে। বাস নির্বাচন করে অনলাইনে ভাড়া পরিশোধ করলেই টিকেট পেয়ে যাবেন।২। সহজ লঞ্চবাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গের দিকে সবচেয়ে সহজ যাতায়াত হচ্ছে লঞ্চের মাধ্যমে। সহজ অ্যাপ দিয়ে লঞ্চের টিকেট কেনা যাবে। যাত্রা শুরু ও গন্তব্যের স্থান, যাত্রার সময় ও তারিখ, যাত্রী সংখ্যা, কেবিনের ধরণ নির্বাচন করলে ওইদিন সচল আছে এমন লঞ্চের তালিকা দেখাবে। সেই তালিকা থেকে লঞ্চ নির্বাচন করলে কেবিন বাছাই করতে দেয়া হবে। কেবিন বাছাই করে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করলে টিকেট পেয়ে যাবেন।৩। সহজ লার্নসহজ অ্যাপে লগ ইন করে খুব সহজে ই-বুক পড়া যাবে। সকল বয়সের জন্যই বই পাবেন এই অ্যাপে। এই সুবিধাটি অন্য অ্যাপগুলোর তুলনায় স্বতন্ত্র।এবং বিশেষ করে সহজ অ্যাপ ব্যবহারের সময় কোন সমস্যা হলে সহজের হটলাইন নাম্বার 16374 – এ ফোন দিয়ে সমাধান করা যাবে।

আরও জানুন
Issue area অনলাইনে নিরাপদে লেনদেনের উপায়

বর্তমান যুগে টাকাপয়সা, জিনিসপত্র কিংবা তথ্য লেনদেনের ক্ষেত্রে অনলাইন মাধ্যমগুলোর ব্যবহার সময়ের সাথে সাথে বেড়েই চলেছে। অনলাইন ব্যাংকিং যেখানে স্বল্প সংখ্যক মানুষ ব্যবহার করছে সেখানে মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা নিচ্ছে সর্বস্তরের লাখ লাখ মানুষ। কিন্তু লেনদেনের সঠিক নিয়মকানুন জানার অভাবে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি হয়রানির শিকার হওয়া মানুষের সংখ্যা নিছক কম নয়। বর্তমানে এসব লেনদেনের ক্ষেত্রে তথ্য ও অর্থের নিরাপত্তা একটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিরাপদ অনলাইন লেনদেন করতে হলে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা খুবই জরুরি।১। পিন নাম্বার গোপন রাখতে হবেআপনার যেকোনো একাউন্টের পিন নাম্বারটি একটি গোপন সংখ্যা যা আপনি ছাড়া আর কেউ জানবে না। কেউ পিন নাম্বার এবং একাউন্ট নাম্বার জেনে গেলে একাউন্টের নিরাপত্তা নষ্ট হয়। সে ব্যক্তি চাইলে আপনাকে বড় ধরণের আর্থিক ঝামেলার মধ্যে ফেলে দিতে পারে। তাই কেউ ফোন করে কিংবা মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে যদি আপনার একাউন্টের গোপন পিন নাম্বার জানতে চায় তাহলে ভুলে পিন নাম্বার বলবেন না। অনেকে ফোন করে বিকাশ কিংবা নগদ অফিসে থেকে ফোন করছে এমন পরিচয় দিয়ে পিন নাম্বার চাইতে পারে, একটুও বিভ্রান্ত না হয়ে ফোন কেটে দিন। ২। ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড কাউকে দেয়া যাবে নাবিভিন্ন একাউন্টে একাউন্ট খোলা, ভ্যারিফিকেশন ইত্যাদি কাজে মোবাইলে মেসেজ দিয়ে বা ইমেইল করে ওটিপি পাঠানো হয়। যা টু ফ্যক্টর অথেনটিকেশনের (দুই ধাপে পরিচয় যাচাই) মত কাজ করে। এই ওটিপি অন্য কাউকে দিয়ে দিলে সে আপনার একাউন্টের টাকা ট্রান্সফার করে নিতে পারে।৩। একাউন্ট নাম্বার কোন মাধ্যমে শেয়ার করার ব্যাপারে সতর্ক থাকুনকোন অনলাইন প্লাটফর্মে একাউন্ট নাম্বার, পিন নাম্বার ইত্যাদি শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। এধরণের গোপনীয় তথ্য অনলাইনে শেয়ার করলে নিরাপদ জায়গা বা ব্যক্তির সাথে করতে হবে। প্রয়োজন শেষে শেয়ারকৃত তথ্য মুছে ফেলতে হবে।৪। খুব কাছের কাউকেও একাউন্টের গোপনীয় তথ্য দেয়া যাবেনাআপনার ভাই-বোন, বন্ধুকে বা কাছের কাউকেই একাউন্টের পিন নাম্বার বলবে না। তথ্যের গোপনীয়তা যত বেশি থাকবে, আপনার একাউন্ট তত বেশি নিরাপদ থাকবে। এই ব্যাপারটা একেবারে ব্যক্তিগত বিষয়। ব্যক্তিগত না রাখতে পারলে বিপদে পরবেন।৫। কোন অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে লেনদেন করলে ঠিক ওয়েবসাইটেই তথ্য দিচ্ছেন কিনা খেয়াল করুনঅনলাইন লেনদেনের বড় একটি অংশ হয়ে থাকে অনলাইন গেটওয়ের মাধ্যমে। এখানে একাউন্ট নাম্বার, পিন নাম্বার, ওটিপি ইত্যাদি দিতে হয়। যে সাইটে এসব তথ্য দিচ্ছেন লক্ষ্য করুন যে সাইটটা কোন ফিশিং সাইট কি না। ওয়েবসাইটটির এড্রেস দেখে যদি কারো সন্দেহ হয় তাহলে সেখানে একাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকুন। ৬। একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে বা কোন ব্যাংকিং অফিস থেকে ফোন দিয়ে গোপনীয় তথ্য চাইলে সতর্ক থাকতে হবে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবার কথা বলে একটি চক্র আমাদের টাকাপয়সা নিজের একাউন্টে নিয়ে নিতে চায়। এদের থেকে সতর্ক থাকবেন। এরকম কেউ ফোন করলে সতর্ক হয়ে যাবেন। এ ধরণের লোক প্রতারক হওয়াই স্বাভাবিক। কারণ কোন অনলাইন ব্যাংকিং কর্তৃপক্ষ থেকে আপনাকে কখনোই কল করে এধরণের কথা বলবে না। ওটিপি বা পিন নাম্বার তো চাইবেই না।৭। একাউন্টের তথ্য গোপন কোথাও সংরক্ষণ করে রাখাঅনেক সময় আমরা একাউন্টের পাসওয়ার্ড, পিন নাম্বার, ইমেইল এড্রেস ভুলে যাই। সে ঝামেলা এড়িয়ে চলার জন্য কোথাও এসব লিখে রাখুন। কিন্তু খেয়াল রাখবেন যেখানে লিখে রাখছেন তা অন্য কারো হাতে পরার সম্ভাবনা আছে কিনা।৮। লেনদেনের ক্ষেত্রে যেকোনো সমস্যা হলে, সন্দেহ হলে ব্যাংক বা অনলাইন মাধ্যমের কর্তৃপক্ষকে জানানলেনদেন সম্পর্কিত যেকোনো ধরণের সন্দেহ, প্রশ্ন বা বাড়তি কিছু জানতে চাওয়ার জন্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে যোগাযোগ করুন। পরিচিত/ অপরিচিত মানুষদের থেকে ভুল এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিস জেনে নিজে থেকেই একাউন্টের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবেন না। সমস্যা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে জানানোর ফলে ভবিষ্যতে এধরনের সমস্যায় পরার হার কমে যাবে। এই ব্যাপারে সাথে সাথেই বিশ্বাসযোগ্য কারো সাথে আলাপ করে পদক্ষেপ নিলে অনেকসময় এসব প্রতারক চক্র থেকে বাঁচা যায়।

আরও জানুন