Issue area অনলাইন সেবা/অ্যাপ/ ডিভাইস অতি ব্যবহারের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি

তুমি কি তোমার বাবা-মা বা বড় ভাই-বোনের মোবাইলে গেম খেলতে পছন্দ করো? গেম খেলতে গিয়ে কি তুমি সময় বেশি নষ্ট করে ফেলো? কম্পিউটারের সামনে কি অনেকক্ষণ বসে থাকা হয়?প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি  “হ্যাঁ” হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু সেই মোবাইল ডিভাইসটি তোমার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বর্তমান বিশ্বে মোবাইল ফোনের মত আরও বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে নতুন একটা আলোচনা সামনে চলে এসেছে , তা হলো-এই প্রযুক্তি কি আমাদের জন্য আশির্বাদ নাকি অভিশাপ?প্রকৃতপক্ষে, অতিরিক্ত যে কোন কিছুই ক্ষতিকর। যে কোন ডিজিটাল ডিভাইস যদি সঠিক নিয়মে ব্যবহার করা না হয় অথবা যদি অতিরিক্ত সময় ধরে ব্যবহার করা হয়, তাহলে ব্যবহারকারী বিভিন্ন রকমের ক্ষতির শিকার হতে পারেন। মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের অতিরিক্ত ব্যবহারে ডিভাইস যেমন নষ্ট হয়ে যেতে পারে তেমনি বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি আছে। ডিজিটাল ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহারের যে সকল সমস্যা হতে পারে।মোবাইল ফোন অতি ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি(১) অমনোযোগিতাবেশিরভাগ সময় দেখা যায়, মোবাইল ফোন আমাদের কোনো কাজের প্রতি মনোযোগ নষ্ট করে দেয়। এর ফলে যারা মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করে তাদের যে কোনো কাজ করতে তাদের স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগে।  (২) চোখের সমস্যাদীর্ঘক্ষণ এবং চোখের খুব কাছে ফোন ব্যবহার করলে মাথাব্যথা, চোখ ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা-এরকম নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমানে বেশির ভাগ শিশু মোবাইল গেম, কার্টুন- এসবের প্রতি বেশ আসক্ত। এজন্যই তাদের চোখের সমস্যার সম্ভাবনা বেশি থাকে। (৩) মানসিক সমস্যাবৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, মোবাইল ফোন থেকে নিঃসরিত তড়িত-চৌম্বকীয় তরঙ্গের কারণে অনিদ্রা, আলঝেইমার ও পারকিনসন’স এর মত বিভিন্ন জটিল রোগ দেখা দেয়। (৪) শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়াযারা দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোনে কথা বলেন তাদের কানের বিভিন্ন সমস্যা যেমন-কানে কম শোনার ঝুঁকি অনেক বেশি। দৈনিক ২-৩ ঘন্টার বেশি সময় মোবাইলে উচ্চ শব্দে গান শোনা, কার্টুন দেখা, গেম খেলার সাথে জড়িত শিশুরা আংশিকভাবে বধির হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। কম্পিউটারের অতি ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকিব্যবসা বানিজ্য, অফিস, উচ্চশিক্ষা বাদেও কম্পিউটার এখন স্কুলে পড়াশুনার  জন্যও প্রয়োজনীয়। অনলাইনে ক্লাস করা ছাড়াও স্কুলের বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট এর কাজেও কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। এগুলো বাদেও কম্পিউটার গেম খেলা, গান, সিনেমা দেখা এবং অন্যান্য কাজেও শিশুরা কম্পিউটার ব্যবহার করে। একটানা অনেকক্ষণ কম্পিউটারের ব্যবহার মারাত্মক ক্ষতিকর পরিণতি বইয়ে আনতে পারে। একটানা অনেকক্ষণ কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন জটিল রোগের জন্ম হতে পারে। এরকম কিছু সমস্যার বিষয়ে আলোচনা করা হলোঃ কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে একটানা তাকিয়ে বসে থাকার কারণে পিঠের ওপর ক্রমাগত চাপ পড়ে ও দেহে রক্ত চলাচল ব্যহত হয়। দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে থাকাটা শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তারপরে যদি সেই বসাটা সঠিকভাবে না হয় তাহলে পিঠে ব্যথা সহ আরও মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। এছাড়া দীর্ঘসময় কম নড়াচড়ার কারণে কম পরিমাণ ক্যালোরি খরচ হয় এবং আমাদের অজান্তেই ওজন বৃদ্ধিসহ হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিসের মতো জটিলতা তৈরি হতে পারে।  একদৃষ্টিতে দীর্ঘক্ষণ ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের ওপর মারাত্মক চাপ পড়ে। এর ফলে চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া সহ চোখের অস্বস্তি, চোখ জ্বালা, চোখ শুকিয়ে যাওয়া, লাল হয়ে ওঠা, চোখ চুলকানো, মাথাযন্ত্রনা হতে পারে। যেসকল শিশু অনেকক্ষণ ধরে কম্পিউটার গেমস খেলে তাদের মধ্যে এই সমস্যা গুলো প্রায়ই লক্ষ করা যায়। এজন্য কম্পিউটারে স্ক্রিন প্রোটেক্টর ব্যবহার করা যেতে পারে যাতে চোখের তুলনামূলক কম ক্ষতি হয়।  

আরও জানুন
Issue area অনলাইন আসক্তির ক্ষতিকর প্রভাব

রুহী প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। তার খুব পছন্দের একটি কার্টুন হলো ‘মোটু পাতলু’। সপ্তাহে চারদিন বিকাল বেলায় সে তার ছোট ভাইয়ের সাথে টেলিভিশনে কার্টুনটি দেখে। একদিন সে তার বান্ধবী দিতির কাছ থেকে জানতে পারল যে সে ইন্টারনেটের মাধ্যমে দিনের যেকোনো সময় কার্টুনটি দেখতে পারে। পরের দিন বাসায় এসে সে আসলেই বুঝতে পারল অনলাইনে সে যে কোন সময় যে কোন কার্টুন দেখতে পারে। এভাবে রুহী তার বাবার  মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন কার্টুন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেখা শুরু করলো।অন্যদিকে, শুভ কম্পিউটারে গেম খেলতে পছন্দ করে। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে সে গেম খেলে। তার মার অফিসের কাজের জন্য বাসায় ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার পর সে প্রায়ই নতুন নতুন গেম ডাউনলোড করা শুরু করে এবং দিনের বেশির ভাগ সময় গেম খেলে নষ্ট করতে থাকে। এজন্য প্রায়ই তার বাবা  তাকে বকা-ঝকা করছে।উপরের দুইটি ঘটনা থেকে আমরা কী বুঝতে পারি? আমরা বুঝতে পারি যে  রুহী এবং শুভ ইন্টারনেটের প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের অনলাইনে আসক্তির পরিণতি ভয়াবহ। এতে করে তারা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে, এবং নানাবিধ ক্ষতি স্বীকার করতে হতে পারে। তাহলে এখন জেনে নিই, অনলাইন আসক্তির ফলে তাদের কী সমস্যা হতে পারে- •          বেশির ভাগ সময় অনলাইনে কাটানোর ফলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে একটি দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে যায়। আবার, পরিবারের সদস্যরা বার বার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে নিষেধ করায় তাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হতে পারে।•          অনলাইনে আসক্তির কারণে তারা বিভিন্ন উৎসবে সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে  থাকে। সমাজে সকলের সাথে মিলেমিশে চলার আগ্রহ কমে। ফলে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হতে পারে।•          খাওয়া-দাওয়ার প্রতি অনীহা চলে আসে। এজন্য শারীরিক ভাবেও সে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতার মুখোমুখি ও হতে পারে।•          একই জায়গায় অনেকক্ষণ বসে থেকে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করলে কোনো ধরণের শারীরিক পরিশ্রম হয় না। এতে করে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যাও দেখা দেওয়ার সাথে সাথে স্থুলকায় বা মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।•          দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া সহ বিভিন্ন ধরণের মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।•          বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ঝুঁকির (যেমন-হ্যাকিং, ফিশিং, তথ্য চুরি) সম্মুখীন হতে পারে। ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা অনলাইনে কাজ করে থাকি। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, এই অনলাইনে আমাদের এতো বেশি সময় দেওয়া যাবে না যাতে এটি আমাদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আরও জানুন
Issue area অনলাইন শিক্ষার জন্য ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্ম (জুম ও গুগল মিট) পরিচিতি

মোবাইলে যেমন আমরা অন্যের সাথে কথা বলতে পারি তেমনি এখন ভিডিও কলের মাধ্যমে যার সাথে কথা বলি তাকে দেখাও যায়। তোমরা নিশ্চয় এসব বিষয় জানো এবং নিজেরাও ভিডিও কলে কথা বলেছ। আজকাল তো ভিডিও কলে ক্লাসও করা যায়। অনেক শিক্ষকই ক্লাস নিচ্ছেন, তোমরাও অনেকে ক্লাস করছ। অনলাইনে ক্লাস করার জন্য কিছু ভিডিও প্লাটফরম আছে, যেগুলো খুব কাজে লাগে। সরাসরি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বহুল ব্যবহৃত অন্যতম দুইটি সফটওয়্যার/অ্যাপ হলো জুম ও গুগল মিট । বিশ্বব্যাপী প্রায় সর্বত্র অনলাইন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য এই দুইটি সফটওয়্যার/অ্যাপ খুবই জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত মাধ্যম।এখন আমরা এই অ্যাপ দুইটি সম্পর্কে জানবো।জুম:  জুম হলো এমন এক ধরনের অ্যাপ; যে অ্যাপের মাধ্যমে তোমরা তোমাদের শিক্ষকদের সাথে অনলাইনে সরাসরি যুক্ত হতে পারবে। অনেকটা ক্লাসে যেমন একজন শিক্ষক থাকেন আর তোমরা সবাই থাকো, এটাও তেমনি কিন্তু অনলাইনে। অর্থাৎ, তোমরা তোমাদের শিক্ষক এবং বন্ধুদের দেখতে পারবে, তাদের সাথে কথা-বার্তা বলতে পারবে এমনকি সরাসরি তাদের সাথে মেসেজের মাধ্যমেও তোমার সমস্যা আলোচনা করতে পারবে। এবং এই অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষক কোন কিছু দেখাতে চাইলে তাদের মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ/ডেস্কটপের স্ক্রিন তোমাদেরকে দেখাতে পারবেন, ঠিক একইভাবে তোমরাও তোমাদের শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে কিছু দেখাতে চাইলে দেখাতে পারবে।  সাথে শেয়ার করতেও পারবেন । গুগল মিট: অনলাইনে সরাসরি আলোচনা বা ভিডিও কনফারেন্সের জন্য আদর্শ আরও  একটি অ্যাপ/সফটওয়্যার গুগল মিট। ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে অনলাইনে বাসা থেকেই ক্লাস করা সম্ভব এই গুগল মিটের মাধ্যমে। জুম অ্যাপের  মত গুগল মিটেও ভিডিও কল, অডিও কল, লাইভ চ্যাট এবং স্ক্রিন  শেয়ার করা যায়। অন্য সব কমিউনিকেশন অ্যাপ বা যোগাযোগের জন্য যে অ্যাপ গুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে গুগল মিট অ্যাপটি ব্যবহার করা বেশ সহজ। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করে গুগল মিট অ্যাপের মাধ্যমে ক্লাসে বা ভিডিও কনফারেন্সিং-এ অংশগ্রহণ করা সম্ভব।ইন্টারনেট সংযোগ ও ডিজিটাল ডিভাইস থাকলে যে কোন স্থান থেকেই গুগল মিটের মাধ্যমে খুব সহজেই তোমরা ক্লাসে বা মিটিং এ অংশগ্রহণ করতে পারবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন বিবেচনা করে এই অ্যাপগুলো তৈরি করা হয়েছে। এখানে আমরা খুবই সাধারণ কিছু ব্যবহারের কথা উল্লেখ করলাম। ধীরে ধীরে ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে তোমরা এগুলোর অন্যান্য ব্যবহার সম্পর্কেও জানতে পারবে।  

আরও জানুন
Issue area গুগল ক্লাসরুম ব্যবহার করে অনলাইন শ্রেণিকার্যক্রমে অংশগ্রহণ

অনলাইন শিক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন অ্যাপ রয়েছে যার মাধ্যমে তুমি তোমার সহপাঠী ও শিক্ষকের সাথে একত্রে পড়াশোনা বিষয়ক আলোচনা করতে পারবে। সেটি হলো গুগল ক্লাস রুম। এই অ্যাপের মাধ্যমে তোমাদের শিক্ষক তোমাদেরকে পড়াশোনা করতে সাহায্য করতে পারবে এবং তোমরাও তোমাদের সমস্যা তাদের সাথে আলোচনা করতে পারবে।চলো তাহলে আজকে জেনে নিই, আমরা কীভাবে গুগল ক্লাসরুম ব্যবহার করে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারব। কম্পিউটার বা ডেস্কটপের মাধ্যমে গুগল ক্লাসরুম ব্যবহারের জন্য প্রথমে তোমাকে গুগল ক্রোমে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে ডানদিকে উপরে ৯টি বিন্দু একসাথে দেখতে পাবে। সেখানে ক্লিক করে নিচে স্ক্রোল করলে তুমি গুগল ক্লাসরুম অ্যাপটি পেয়ে যাবে। তোমাকে একটি গুগল একাউন্টের মাধ্যমে ‘সাইন ইন’ করে ক্লাসে যুক্ত হতে হবে। একটি ক্লাসে যুক্ত হওয়ার পরে, তুমি তোমার শিক্ষকের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজ পেতে পারবে এবং তোমার সহপাঠীদের সাথে আলোচনাও করতে পারবে। মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রেও একই ভাবে ক্লাসে যুক্ত হতে হবে সেক্ষেত্রে  তোমাকে প্রথমে প্লে স্টোর থেকে গুগল ক্লাসরুম অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে।চলো তাহলে জেনে নিই কীভাবে ক্লাসে যুক্ত হতে পারবে। মূলত তিনটি উপায়ে ক্লাসে যুক্ত হওয়া যায়।১) একটি ক্লাস লিঙ্ক - তোমার শিক্ষক একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে দিবেন, যে লিঙ্কে প্রবেশ করে Join অপশনে ক্লিক করলে তুমি ক্লাসে যুক্ত হয়ে যাবে।২) একটি ক্লাস কোড - তোমার শিক্ষক একটি একটি ক্লাস কোড দিয়ে দিতে পারেন, যে ক্লাস কোডটি ব্যবহার করে তুমি ক্লাসে যুক্ত হতে পারবে।গুগল ক্লাসরুমে প্রবেশের পর তোমার সামনে দুইটি অপশন আসবে-Join Class এবং Create Class । ওথবা একটি (+) যোগ চিহ্ন আসবে, সে যোগ চিহ্নে ক্লিক করলে অপশন দুইটি আসবে। সেখান থেকে Join Class সিলেক্ট করলে তোমার সামনে Class Code লেখা একটি বক্স আসবে । সেই বক্সে তোমার শিক্ষকের দেওয়া Class Code টি লিখে উপরে থাকা Join অপশনে ক্লিক করলে তুমি ক্লাসে যুক্ত হয়ে যাবে।৩) একটি ইমেল আমন্ত্রণ - তোমার শিক্ষক তোমাকে ইমেইলের মাধ্যমে আমন্ত্রণ পাঠাতে পারে। সেখানে একটি লিঙ্ক থাকবে, যে লিঙ্কে প্রবেশ করে Join অপশনে ক্লিক করলে তুমি ক্লাসে যুক্ত হয়ে যাবে।ক্লাসে যুক্ত হওয়ার পরে সেই ক্লাসে প্রবেশ করলে উপরে তুমি তোমার ক্লাসের নামটি দেখতে পারবে। তার ঠিক নিচে (Share with your class) লেখা একটি বক্স দেখতে পাবে। সেখানে তুমি তোমার সহপাঠীদের সাথে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করতে পারবে। আবার , পড়াশোনা বিষয়ক কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলেও তুমি সেখানে সে সমস্যার কথা লিখে সবার সাথে শেয়ার করতে পারবে। পরবর্তীতে তোমার শিক্ষক ও সহপাঠী চাইলে সেই পোস্টে Add Class Comment অপশনে গিয়ে তোমার সমস্যার সমধান করে দিতে পারবে। একই ভাবে তোমার শিক্ষক সেই ক্লাসে প্রয়োজনীয় নোট , ফাইল , ছবি তোমাদের সাথে শেয়ার করতে পারবে।গুগল ক্লাসরুম অ্যাপের মাধ্যমে তোমার শিক্ষক তোমাকে বাড়িরকাজ দিতে পারবে এবং তুমি এই অ্যাপের মাধ্যমেই তোমার বাড়িরকাজ জমা দিতে পারবে। এজন্য সর্বপ্রথমে অ্যাপে প্রবেশ করে তোমার নির্ধারিত ক্লাসটিতে ক্লিক করবে। সেখানে Classwork নামে একটি অপশন আসবে;সেই জায়গায় ক্লিক করবে। তখন তোমার শিক্ষকের দেওয়া সকল কাজগুলো তুমি দেখতে পাবে। এরপর তুমি যেই বাড়িরকাজটি জমা দিতে চাও সেখানে প্রবেশ করে ‘View assignment’-এ ক্লিক করবে। এরপর তোমার সামনে একটি বক্স আসবে যার নিচে লেখা থাকবে (+Add or create)/(Add work) । সেখানে প্রবেশ করে তোমার ডিভাইস থেকে নির্দিষ্ট ফাইল বা ছবি সিলেক্ট করতে পারবে। সিলেক্ট করার পর বক্সের নিচে আরেকটি অপশন আসবে- Hand in.  সেখানে ক্লিক করলেই তোমার বাড়িরকাজটি জমা হয়ে যাবে। 

আরও জানুন
Issue area শিক্ষামূলক বিভিন্ন কাজ জমা দিতে ইমেইল করা (ফাইল সংযুক্ত করা)

আমরা কি আমাদের সব আত্বীয়-স্বজনকে নিয়ে একই শহরে বসবাস করি? যারা অন্য শহরে থাকে আমরা তাদের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করি? তোমরা হয়ত সবাই বলবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। কিন্তু যদি কোনো প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র পাঠাতে হয় তাহলে কিভাবে সেটি তোমরা তাদের কাছে পৌঁছাবে? পূর্বে চিঠির মাধ্যমে আমরা এই কাজটি করতাম।তাহলে কি বলতে পারবা চিঠি আদান-প্রদানের মাধ্যমে আমরা কী করি? আমরা দূরের কারো কাছে আমাদের প্রয়োজনীয় কথা বার্তা, এমনকি অনেক সময় প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র, ছবি ও পাঠিয়ে থাকি।পূর্বে এই চিঠি পাঠানোর খুব প্রচলন ছিলো। অফিস, আদালতে, স্কুলে বা পারিবারিক প্রয়োজনে প্রচুর চিঠির আদান প্রদান হতো। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে চিঠির আদান প্রদানও সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। অফিস আদালতের খুব সীমিত কার্যক্রমে এখন চিঠির আদান প্রদান হয়ে থাকে।কিছু দিন আগেও স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীকে ছুটির জন্য বা বিভিন্ন প্রয়োজনে দরখাস্ত লিখতে হতো। কিন্তু, বর্তমানে এই সকল কাজের জন্য চিঠি ও দরখাস্ত লেখার জায়গাটি দখল করে নিয়েছে নতুন একটি প্রথা। সেটি হলো ইমেইল প্রথা। এভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রমে নিয়মিত ইমেইল করতে হয়।ধরো, তোমার গণিত শিক্ষক তোমাদেরকে আজকে যোগ করা শিখিয়েছেন এবং বাড়িতে অনুশীলনের জন্য কিছু যোগের সমস্যা দিয়ে দিলেন। তিনি তোমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করে সেগুলোর ছবি তুলে তাঁর ইমেইল এড্রেসে বা ইমেইল ঠিকানায় ইমেইল করার জন্য নির্দেশনা দিলেন।তাহলে, এখন আমাদের জানতে হবে যে কীভাবে সঠিক উপায়ে আমরা ইমেইল করতে পারি।চিঠির লেখার যেমন কিছু নিয়মকানুন আছে, ইমেইল করারও কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন ও আদব- কায়দা আছে।তুমি যদি ইমেইল পাঠাতে চাও, তাহলে তোমাকে অবশ্যই যে কোনো ইমেইল প্রোভাইডারের একটি অ্যাকাউন্ট থাকা লাগবে। যেমন- জি মেইল(Gmail), ইয়াহু মেইল(Yahoo! Mail), আউটলুক (Outlook), প্রোটোনমেইল(ProtonMail) ইত্যাদি।উদাহরণ স্বরূপ, তুমি একটি জিমেইল (gmail) অ্যাকাউন্ট খোলার পর কাউকে মেইল করতে চাইলে প্রথমে তোমাকে জিমেইলের কম্পোজ(Compose) অপশনে যেতে হবে। সেখানে একটি বক্স আসবে। বক্সের ‘To’ লেখা জায়গাটিতে যার কাছে মেইলটি পাঠাতে চাও তার ইমেইল ঠিকানা লিখতে হবে।এরপর, ‘Subject’ লেখা জায়গাটিতে মেইলের শিরোনাম বা যে বিষয়ে মেইল করা হবে সেই বিষয়টি সংক্ষেপে ১ লাইনে বা কয়েকটি শব্দে লিখতে হবে। এরপর নিচের দিকে ‘Compose email’ লেখা জায়গায় মেইলের মূল কথাগুলো লিখতে হবে। মেইলটি শুরু করতে হবে সুন্দর সম্ভাষণ দিয়ে। স্কুল কলেজের শিক্ষককে মেইল করতে হলে প্রিয়/শ্রদ্ধেয় স্যার লিখে শুরু করা যেতে পারে, বন্ধু বা আত্মীয় স্বজন হলে প্রিয় বন্ধু বা প্রিয়/শ্রদ্ধেয় …. লিখে শুরু করা যাবে। মেইল লেখার সময় ভাষার প্রতি খুব সচেতন থাকতে হবে। বয়স্ক কেউ, শিক্ষক, উচ্চপদস্থ কারো কাছে মেইল লেখার সময় অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে(যেমন-ফেসবুক,ম্যাসেঞ্জার,হোয়াটস্‌ অ্যাপ) প্রচলিত শব্দ যেমন- অ্যাসাপ (asap), লোল (lol), btw এরকম শব্দগুলো পুরোপুরি বর্জন করতে হবে।বানানের প্রতি খেয়াল রাখবে এবং মূল কথাগুলো খুব বেশি বর্ণনা করার প্রয়োজন নেই। ৪-৫ লাইনের ভিতরে যদি মূল কথাগুলো সম্পন্ন করা যায় তবে খুব ভালো। ধরো, তুমি তোমার বাড়ির কাজ জমা দিবে । এখানে তুমি খুব সংক্ষেপে লিখে দিতে পারো তুমি কোন বিষয়ের বাড়ির কাজটি জমা দিচ্ছো এবং ইমেইলের শেষে নিজের নাম ও পরিচয় সংক্ষেপে লেখা ভালো।এখন তাহলে, এই যে তোমার বাড়ির কাজ জমা দিবে,এই বাড়ির কাজটি তুমি  কীভাবে ইমেইলে সংযুক্ত করবে সেটি নিয়ে আলোচনা করি।ডেস্কটপ বা কম্পিউটারের সাহায্যে ইমেইলে তোমার বিভিন্ন কাজগুলো ছবি বা ফাইল হিসেবে যুক্ত করার জন্য ইমেইল বক্সের নীচে খেয়াল করলে দেখতে পাবে অনেকগুলো আইকন আছে যার একটি হলো অ্যাটাচ ফাইল। আর মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে এই আইকনটি বক্সের উপরে ডানদিকে থাকতে পারে। সেই অ্যাটাচ ফাইলে ক্লিক করে ওই ডিজিটাল ডিভাইসের যেখানে প্রয়োজনীয় ফাইলটি আছে সেখান থেকে ফাইলটি নির্বাচন করে তা ইমেইলের সাথে যুক্ত করতে হবে।এরপর সেন্ড(send)- এ ক্লিক করলে ফাইলসহ ইমেইলটি প্রদত্ত ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। এখানে সেন্ড(send) লেখাটির পরিবর্তে তিনকোনা আকৃতির একটি সেন্ড আইকন ও থাকতে পারে। ফাইলের সাইজ যদি ২৫ মেগাবাইটের(25 MB) বেশী হয় তবে সেই ফাইল মেইলে সংযুক্ত করা যাবে না। যদি বেশী সংখ্যক ফাইল হয় বা ফাইলের সাইজ অনেক বড় হয় তবে ফাইলটি বা ফাইলগুলো গুগল ড্রাইভে আপলোড করে সেই লিংকটি প্রয়োজনীয় ঠিকানায় পাঠানো যেতে পারে। একইভাবে খুব সহজে তুমি সহপাঠীদের সাথে ইমেইলের মাধ্যমে শিক্ষা সম্পর্কিত যে কোনো নোট নিজেদের মধ্যে শেয়ার করতে পারবে। 

আরও জানুন
Issue area শিশুদের জন্য উপযোগী শিক্ষামূলক অ্যাপ ও ওয়েবসাইট

 তোমরা কি এখন শুধু স্কুলে বসে বই থেকেই পড়াশোনা করো? শুধু কি তোমার স্কুলের শিক্ষক থেকেই পড়াশোনা শিখো? আর অন্য কোন জায়গা থেকে কি তুমি পড়াশোনা করো না? তোমাদের মধ্যে হয়ত বেশিরভাগই উত্তর হয়ত হবে 'হ্যাঁ' । কেননা, এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আমরা অনেকেই ইন্টারনেটের সহায়তায় বিভিন্নভাবে পড়াশোনা করেছি। মূলত, ইন্টারনেটে অভ্যস্ততা আমাদের জীবনযাপন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরণের উন্নতি সাধন করেছে। বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় কাজে ইন্টারনেট ব্যাপক ভাবে সহায়তা করছে।যেমন-ডাক্তারের সিরিয়াল দেয়া, দূর-দূরান্তে যোগাযোগ,প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ আমরা এখন ইন্টারনেটের সহায়তায় করে থাকি। শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তন এসেছে ইন্টারনেটের কল্যাণে। এজন্যই আমরা এখন জেনে নিব কীভাবে ইন্টারনেটের সহায়তায় বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে আমরা আমাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারি। চলো, তাহলে আমরা জেনে নিই কোন কোন অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের সহায়তা নিয়ে পড়াশোনা করতে পারি। অথবা, আমাদের পড়াশোনা সম্পর্কিত যে কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে নিতে পারি।প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক, কিছু শিক্ষামূলক অ্যাপ সম্পর্কে। ১) টেন মিনিট স্কুল:  এই অ্যাপে তোমাদের মত ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের জন্য মজার মজার কিছু ভিডিও রয়েছে। ভিডিও গুলোর মাধ্যমে  তোমাদের পাঠ্যবইয়ে যে বিষয়বস্তু গুলো রয়েছে সেই শেখার বিষয়গুলোকে আরো মজাদার এবং আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। তোমরা তোমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল থেকে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে খুব সহজেই '10 Minute School - Online Learning Courses' এইনামে সার্চ করে 10 minute School  অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। অথবা, https://play.google.com/store/apps/details?id=com.a10minuteschool.tenminuteschool এই লিংকে গিয়েও তুমি অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবে। আর তুমি যদি ডেস্কটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকো তাহলে http://10minuteschool.com/ - এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার মাধ্যমে টেন মিনিট স্কুল অ্যাপটি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। ২) এপিক! (Epic!):আমরা কিন্তু এখন শুধু বই হাতে নিয়েই পড়াশোনা করি না। ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে আমরা অনলাইনেও বই পড়তে পারি। এমনই অনেক রকমের বই একসাথে পড়ার জন্য একটি অসাধারণ ই-বুক লাইব্রেরী অ্যাপ রয়েছে। এখানে ১০ হাজারেরও অধিক গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের সমাহার রয়েছে; যা মূলত তোমাদের কথা বিবেচনা করেই তৈরি করা হয়েছে। তোমরা এই অ্যাপটি ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে তোমাদের জ্ঞান ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পারবে। আবার, এখানে শিক্ষাসংক্রান্ত অনেক ভিডিও আছে, এসব ভিডিও দেখার মাধ্যমেও জ্ঞানের পরিসীমাকে বাড়াতে পারবে। ৩) নতুন ভাষা শেখার জন্য বিভিন্ন অ্যাপ: তোমরা সবাই কিন্তু ঠিকমত বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি,তাই না? তোমাদের কি কারো বাংলা বাদে অন্য কোনো ভাষা শিখতে ইচ্ছা করে?যদি করে থাকে তাহলে তোমাদের জন্য রয়েছে কিছু মজার অ্যাপ। যেগুলোর মাধ্যমে তুমি নতুন একটা ভাষা খুব সহজেই শিখে ফেলতে পারবে। যেমন- ডুয়োলিঙ্গো (Duolingo: language lessons) প্লে স্টোর থেকে তুমি অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিজের সময়মত ও পছন্দমত ভাষা শিখে ফেলতে পারো। ৪) কুইক ম্যাথ (Quick Math)সংখ্যাগত ও গাণিতিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য শিশুদের উপযোগী বেশ জনপ্রিয় একটি অ্যাপ হচ্ছে কুইক ম্যাথ। সাধারণত ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের গাণিতিক বিষয়ে ধারণা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই অ্যাপটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে। অ্যাপ স্টোর থেকে সহজেই এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে মজার মজার গাণিতিক সমস্যা সমাধান করে গণিতে দক্ষ হয়ে উঠতে পারবে।  ৫) সাইন্স ৩৬০ (Science360)এই অ্যাপটিতে ছবি এবং ভিডিওয়ের মাধ্যমে বিজ্ঞান বিষয়ক মজার মজার তথ্য শিশুদের প্রদান করা হয়ে থাকে। অ্যাপটি ব্যবহার করলে তুমি প্রতিনিয়ত বিজ্ঞানের নতুন তথ্যগুলো জানতে পারবে। ৬) কিডস পেইন্ট (Kids Paint)এই অ্যাপের মাধ্যমে শিশুরা আঁকাআঁকি করে রঙ করা শিখতে পারে। যেকোনো সময় তোমরা এই অ্যাপে প্রবেশ করে খুব সহজেই মনের মতো আঁকাআঁকি করতে পারবে।৭) এবিসি গান: নার্সারি ছড়া, কবিতা, শিশুদের শেখাশিশুদের অক্ষরের আকৃতি চিনতে, বিভিন্ন নতুন শব্দের সাথে পরিচয় করাতে, বর্ণমালা শেখাতে এই অ্যাপ শিশুদের জন্য বেশ উপকারী। গানের মাধ্যমে আনন্দের সাথে বাচ্চারা সহজেই বর্ণমালার অক্ষর শিখতে পারবে। সাথে সাথে মজার কিছু ছড়াও গান শিখে ফেলতে পারবে।  কিছু শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট ১) কৌতূহলী ওয়ার্ল্ড ( www.curiousworld.com )শিশুদের জন্য অন্যতম মজাদার একটি ওয়েবসাইট হলো কৌতূহলী ওয়ার্ল্ড। শিশুদেরকে খেলার মাধ্যমে তাদের বয়সপোযোগী কিছু প্রয়োজনীয় শিক্ষা দানের জন্য এই ওয়েবসাইটটি বেশ উপযোগী। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার মাধ্যমে শিশুরা খুব সহজেই সেবাটি গ্রহন করতে পারে।২) ভূগোল বিষয়ক ওয়েবসাইট (https://kids.nationalgeographic.com/ )এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিশুরা বিভিন্ন ভিডিও এবং বিভিন্ন খেলার মাধ্যমে চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে নতুন নতুন জিনিস শিখতে পারে।৩) এবিসিমাউস (https://www.abcmouse.com/ )২-৭ বছর বয়সী শিশুরা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বই এবং সংগীত পড়তে বা শুনতে, গেম খেলতে এবং রঙ করতে পারবে। এটি বাচ্চাদের নতুন নতুন শব্দ শেখার জন্য অন্যতম সেরা একটি ওয়েবসাইট।৪) ফানব্রেইন (www.funbrain.com )এই ওয়েবসাইটটিতে খেলার মাধ্যমে গণিত এবং পড়ার দক্ষতা বৃদ্ধি করে। সাথে বিভিন্ন ধরনের গেমস, বই এবং ভিডিওসহ আরও অনেক কিছু সরবরাহ করা থাকে।৫) খান একাডেমি (www.khanacademy.org )যে কাউকে, যে কোনও জায়গায় বিনা খরচে শিক্ষা দেওয়ার জন্য খান একাডেমি একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট যেখানে বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি বিষয়েই অসংখ্য ভিডিও রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অনুশীলন যাতে করে বাচ্চারা নিজেরাই শেখার মূল্যায়ন করতে পারে।৬) ফ্যানোলজি (www.funology.com )এই ওয়েবসাইটটিতে রয়েছে না জানা অনেক মজাদার তথ্য, রসিকতা, ধাঁধা এবং এমনকি বিভিন্ন মজার মজার রেসিপি। শিশুদের অবসর সময় মজাদার উপায়ে কাটানোর জন্য এই ওয়েবসাইটটি বেশ উপযোগী।৭) কুলম্যাথ (www.coolmath.com )   তোমাদের মধ্যে অনেকে গণিত খুব পছন্দ করো আবার অনেক একটু ভয় পাও। তোমাদের সবার জন্য এই মজাদার ওয়েবসাইটটি বেশ কাজে দিবে। এই ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে তোমরা অনলাইন গণিতের গেমগুলি খেলতে খেলতে গণিতে দক্ষ হয়ে উঠতে পারবে।এভাবে তোমরা অনলাইনে থেকেও বিভিন্ন অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে পারবে ।

আরও জানুন