Issue area ফরমেট করা, সেট আপ দেওয়া, প্রয়োজনীয় সফটওয়ার ডাউনলোড, পেন ড্রাইভ ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ ব্যবহার ইত্যাদি

ফরমেট করাফরমেট করা হলে ডিভাইসের সব ডাটা একসাথে ডিলিট হয়ে মেমোরি একদম খালি হয়ে যায়। অনেক সময় ডিভাইসে কোন ভাইরাসের কারণে বা অন্য কোন সমস্যার জন্য কিছু ফাইল পাওয়া যায় না, ডিলিট করা যায় না। ডিজিটাল ডিভাইস ফরম্যাট করা এসব অসুবিধার সময় বেশ কার্যকর একটি পদ্ধতি। ফরমেট করার আগে মনে রাখুন১। ডিভাইসের ডাটার ব্যাকআপ রাখুন। কারণ ফরমেট করলে সব ডাটা ডিলিট হয়ে যাবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় ডাটা ব্যাক আপ রাখা জরুরি।২. ডাটা ব্যাকআপ হয়ে গেলে তারপর ফরমেট করুন।কখন ফরমেট করা প্রয়োজন?১। আপনি আপনার ডিভাইস কাউকে দিয়ে দিবেন বা বিক্রি করে দিবেন এমন ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য একবারে মুছে ফেলার জন্য ফরমেট করবেন।২। ডিভাইস অনেক সময় ধীরগতির হয়ে যেতে পারে। এমনকি অনেক সময় ডিভাইসে কোন ভাইরাসের কারণে সমস্যা হতে পারে, ধীর হয়ে যেতে পারে। এমন ক্ষেত্রে ফরমেট করা কার্যকর একটি উপায়।৩। ধরুন আপনি ডিভাইসের স্ক্রিন লকের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন। এমন অবস্থায় ডিভাইসটি ফরমেট করা ছাড়া উপায় নেই। ফোন ও কম্পিউটারের পাশাপাশি মেমোরি কার্ড, পেন ড্রাইভ, পোর্টেবল হার্ডডিস্ক এগুলোও ফরমেট করা যায়। প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ডাউনলোডকম্পিউটারেগুগলে সার্চ করে ওই সফটওয়্যারের ওয়েবসাইটে গিয়েও ডাউনলোড করা যায়। অথবা মাইক্রোসফট স্টোর থেকে উইন্ডোজ, অফিস এবং মাইক্রোসফট সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সেবাগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ডাউনলোড করা যায়। ডাউনলোডের পর সেই সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হয়। প্রিমিয়াম সফটওয়্যার হলে এক্টিভেশন কী দিয়ে সফটওয়্যার টি এক্টিভেট করতে হয়। ফোনেফোনের জন্য অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপ থাকে। সেখান থেকে ডাউনলোড করে নেয়া যায়। ফোনের সফটওয়্যার আলাদা করে ইন্সটল করার প্রয়োজন হয় না। ডাউনলোড করলে অটোমেটিক ইন্সটল হয়ে যায়। পেন ড্রাইভ ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ ব্যবহার ইত্যাদি পেন্ড্রাইভ হচ্ছে ছোট সাইজের একটি ডিভাইস যাতে কম সময়ের জন্যে তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা যায়। এই ডিভাইসের মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে তথ্য আদান প্রদানও করা যায়। আবার ফোন থেকেও কম্পিউটারে আদান প্রদান করা যায়। সেক্ষেত্রে ফোনে পেন ড্রাইভ যুক্ত করার জন্য ওটিজি ক্যাবল নামে একটি ডিভাইসের প্রয়োজন হয়। ওটিজি ক্যাবলের মাধ্যমে ফোনের সাথে পেন ড্রাইভ, মাউস, কীবোর্ড যুক্ত করা যায়। অন্যান্য যন্ত্রাংশ ব্যবহারঅন্যান্য যন্ত্রাংশের মধ্যে বেশি প্রয়োজনীয় কয়েকটি ডিভাইস হলো ডাটা ক্যাবল, কার্ড রিডার, পোর্টেবল হার্ডডিস্ক, মেমোরি কার্ড, মডেম, মাউস, কীবোর্ড এবং প্রিন্টার। ডাটা ক্যাবলমোবাইল ফোন থেকে সরাসরি কিছু নিতে চাইলে বা মোবাইল ফোনের মেমোরি কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করতে হলে ডাটা ক্যাবলের প্রয়োজন হয়। এভাবে যেকোন ধরনের ফাইল, ছবি, ভিডিও আদান প্রদান করা যায়।কার্ড রিডারকার্ড রিডারের মাধ্যমে ক্যামেরা বা মোবাইলের মেমোরি কার্ডটি কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করে ফাইল শেয়ার করা বা অন্য কোন কাজ করা যায়। পোর্টেবল হার্ডডিস্কঅনেক সময় কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে কোন সমস্যা হলে পোর্টেবল হার্ডডিস্ক যা ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করা যায় তা নিতে পারেন। অনেকের ক্ষেত্রেই কম্পিউটারের স্টোরেজ যথেষ্ট মনে হয় না, আবার বাইরে গেলে কম্পিউটার সাথে নিয়েও চলা যায় না অনেক সময়। সেসব ক্ষেত্রে পোর্টেবল হার্ডডিস্ক খুবই কার্যকর একটি ডিভাইস। মেমোরি কার্ডমোবাইল ফোন, ট্যাব, ডিজিটাল ক্যামেরায় ব্যবহারের জন্য কম আকারের স্টোরেজের জন্য ব্যবহৃত হয় মেমোরি কার্ড। একে কার্ড রিডারের মাধ্যমে কম্পিউটারে যুক্ত করা যায়। মডেমসিম কার্ডে ডাটা কিনে তার মাধ্যমে কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় মডেম। এখানে সিম কার্ড যুক্ত করার জায়গা থাকে এবং একে ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করে কাজ করতে হয়।

আরও জানুন
Issue area প্যারেন্টাল কন্ট্রোল এ্যাপের ব্যবহার, ফিল্টারিং অ্যাপ, সেফ সার্চ, এ্যক্টিভিটি মনিটরিং অ্যাপ ব্যবহার

প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের ব্যবহারপ্যারেন্টাল কন্ট্রোল অ্যাপের মাধ্যমে অভিভাবক সন্তানের ডিভাইস ব্যবহার এবং অনলাইন কর্মকাণ্ড মনিটরিং করতে পারেন। আপনার সন্তান কোন ধরনের সিনেমা, গান, বই, অ্যাপ ডাউনলোড ও ব্যবহার করতে পারবে তা এখানে নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন।প্যারেন্টাল কন্ট্রোল কীভাবে সেট আপ করবেন?১। আপনার ফোন থেকে গুগল প্লে স্টোর ওপেন করুন২। প্লে স্টোরের সেটিংসে যান। এজন্য প্লে স্টোর ওপেন হবার পর উপরে ডানদিকে আপনার প্রোফাইল ছবি/আইকনের ওপর ক্লিক করুন। একটি মেনু আসবে যেখানে নিচের দিকে সেটিংস অপশনটি পাবেন। ৩। সেটিংসে গেলে দেখবেন Family নামে একটা অপশন আছে যার মধ্যে আরেকটি অপশন পাবেন  parental control নামে।৪। Parental control এ ক্লিক করে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অন করতে হবে।৫। অন করার সাথে সাথে একটি পিন দিতে বলবে। এই পিন আপনার পছন্দমত দিবেন। প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের অন্য যে কোন পরিবর্তনের জন্য এই পিন নাম্বার ব্যবহার করতে হবে।৬। পিন দেয়ার পরে একই পিন আবারও কনফার্ম করতে হবে।৭। তার পরের ধাপে গেলে বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্টে নিয়ন্ত্রণ আরোপের অপশন দেখাবে। যেমন Apps and games, Movies, Music৮। এইবার যেকোনো একটি ক্যাটাগরি নির্বাচন করে ক্লিক করলে বিভিন্ন বয়সের ক্যাটাগরি দেখাবে যে আপনি কোন বয়সের উপযোগী কন্টেন্ট রেস্ট্রিক্ট করতে চান।৯। সেগুলো নির্বাচন করে Save চাপলে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অন হয়ে যাবে।১০। একইভাবে Apps and games, Movies, Music এর মত সবগুলো ধরনেই প্যারেন্টাল কন্ট্রোল দিতে হবে। ফিল্টারিং অ্যাপফিল্টারিং অ্যাপ এর মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ এবং বয়সের জন্য অনুপযোগী ওয়েবসাইট ব্লক করা যায়। আবার কিছু ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে শিশুরা অনেক বেশি সময় ব্যয় করে পড়াশোনার ক্ষতি করে ফেলে। এ ধরনের ওয়েবসাইট, অ্যাপ ব্লক করে দিলে এগুলো আর ব্যবহার করতে পারবে না। বা এসবের জন্য সময়ের সীমা দিয়ে দিলে নির্দিষ্ট সময় এসব ব্যবহার করতে পারবে। ফিল্টারিং অ্যাপ যেসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে--  অযাচিত ওয়েবসাইটে যাওয়া- ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং চ্যাটিং মাধ্যমে খুব বেশি সময় ব্যয় করা-  বয়সের অনুপযোগী কন্টেন্ট দেখাকয়েকটি ফিল্টারিং অ্যাপ১। FlashStart২। Net Nanny৩। Kaspersky Safe Kidsসেফ সার্চবাচ্চাদের ডিভাইসে সেফ সার্চ অন করে রাখলে এডাল্ট কন্টেন্ট বা ভায়োলেন্ট কন্টেন্ট বাচ্চাদের সার্চ রেজাল্টে আসে না। এর মাধ্যমে বাচ্চাদের ডিভাইস ব্যবহার অনেকটাই নিরাপদ করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ডিভাইসে সেফ সার্চ অন করবেন।১। ডিভাইসে থাকা G এর মত দেখতে গুগল অ্যাপটি ওপেন করুন২। সেখান থেকে সেটিংস এ যান৩। সেখানে দেখবেন Hide explicit results নামে একটি অপশন আছে।৪। এই অপশনে ক্লিক করে সেফ সার্চ অন করতে পারবেন।৫। স্ক্রিনের উপরে তালা চিহ্ন থাকলে বুঝবেন সেফ সার্চ অন আছে।৬। একইভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজারেও সেফ সার্চ অপশন চালু করে রাখতে পারবেন। এ্যক্টিভিটি মনিটরিং অ্যাপশিশুরা ডিজিটাল ডিভাইস বা ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় তাদের জন্য উপযোগী নয় এমন কন্টেন্ট থেকে তাদের দূরে রাখার জন্য এক্টিভিটি মনিটরিং অ্যাপ এর প্রয়োজন রয়েছে। শিশুদের অনলাইন এক্টিভিটি মনিটর করা এবং তাদের ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য এই অ্যাপ ব্যবহার করা উচিত।বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি এক্টিভিটি মনিটরিং অ্যাপ-১। iOS 12২। Circle৩। Monqi Phone৪। Boomerang৫। Qustodioশিশু কি এসব অ্যাপের নিয়ন্ত্রণের সেটিংস পরিবর্তন করে ফেলতে পারে?নতুন প্রজন্ম তার আগের প্রজন্মের থেকে প্রযুক্তিগত জ্ঞানের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে থাকে। বাচ্চা যদি বুঝতে পারে যে তার ডিভাইসে প্যারেন্টিং কন্ট্রোল, সেফ সার্চ, ফিল্টারিং অ্যাপ এসব সেট আপ করে দেয়া হয়েছে তাহলে তারা ইন্টারনেট ঘেঁটে বা কোন বন্ধুর সহায়তা নিয়ে এগুলোকে পাশ কাটিয়ে রেস্ট্রিক্ট করা কন্টেন্ট ব্যবহার করতে পারে। সেজন্য অভিভাবকদের প্রযুক্তি ব্যবহার ও জানার প্রতি আগ্রহী হতে হবে। এসব অ্যাপের মধ্যে যেগুলো সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা দেয় সেগুলোই ব্যবহার করার চেষ্টা করুন তাহলে এই সমস্যা এড়ানো যাবে। পাসওয়ার্ড দিয়ে নিরাপত্তা দেয়া অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন সেক্ষেত্রে।

আরও জানুন