শিশুর জন্মের পর প্রথম আট বছর তার বেড়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল।এ সময়ে শিশুর যত্ন ও বেড়ে ওঠার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি খেয়াল করা প্রয়োজন। তবে শিশুর প্রথম তিন বছর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে শিশুর প্রতি অবহেলা শিশুর বুদ্ধিবৃত্তি, আচরণ ও আবেগের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করে। কোন বয়সে শিশুর খাদ্য কেমন হওয়া উচিত, শিশুকে কি শেখানো উচিত, কি ধরনের খেলনা দেওয়া উচিত, কাদের সাথে মেলামেশা করা উচিত, শিশুকে কিভাবে সময় দেওয়া উচিত, কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে কি করা উচিত ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সুন্দর হবে। আর এই তথ্যগুলো সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা সম্ভব।
মনে করুন আপনার বাচ্চার বয়স ৩ বছর। এখন তিন বছর বয়সী শিশুর খাদ্য কেমন হওয়া উচিত এ বিষয়ে আপনার তথ্য প্রয়োজন। আপনি সহজেই ইন্টারনেট থেকে এই তথ্য খুঁজে বের করতে পারবেন। ইন্টারনেট সংযোগ সম্পন্ন যে কোন ডিজিটাল ডিভাইসে গুগল সার্চ ইঞ্জিন চালু করে সেখানে লিখুন ৩ বছর বয়সী শিশুর খাবার। এরপর ইন্টার চাপলেই ৩ বছর বয়সী শিশুর খাবার কেমন হওয়া উচিত, এই খাবার তৈরীর প্রক্রিয়া, খাবারের দাম, কোথা থেকে কিনবেন ইত্যাদি তথ্য আপনার সামনে চলে আসবে। তবে আপনার উচিত হবে বহুল প্রচলিত ওয়েব সাইটের বা সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করা।
একইভাবে আপনার সন্তানের বয়স যদি ৪ বা ৫ বছর হয় তবে সেই বয়সের শিশুর খেলনা বা শিক্ষা বা রোগের সম্পর্কে যদি আপনার কোন তথ্য প্রয়োজন হয় তবে সেটি গুগল সার্চ ইঞ্জিন চালু করে সেখানে লিখলেই আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি পেয়ে যাবেন। তবে আপনার উচিত হবে বহুল প্রচলিত ওয়েব সাইটের বা সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করা।
শিশুর জন্য প্রশাসনিক বা কোন ধরনের আইনি সহায়তার প্রয়োজোন হলে শিশু সহায়ক ফোন নন্বর ১০৯৮ নম্বরে ফোন করতে পারেন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন টোল ফ্রি এই নম্বরে ফোন করলে সহজেই বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক ও আইনি সহায়তা পাওয়া যাবে।
এর বাইরে https://www.unicef.org/bangladesh/ এই ওয়েব সাইটেও শিশু বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য একসাথে একজায়গায় পাওয়া যাবে।