আলিফ চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। অনলাইন ক্লাসে অংশ নেওয়ার জন্য সে তার বাবার জুম অ্যাকাউন্ট, হোয়াটস অ্যাপ ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে। চাকরির কাজে তার বাবা এ সপ্তাহে দেশের বাহিরে যাবে। তাই তিনি আলিফকে একটি গুগল অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছেন। গুগল অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার সময়ে তিনি আলিফকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা ও ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মনে রাখা জরুরি সেগুলি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন। এছাড়াও ইন্টারনেটে বিভিন্ন পরিষেবা গ্রহণের জন্য একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড কিভাবে সাহায্য করে সে সম্পর্কে আলিফের বাবা আলিফকে ধারণা দেন।
অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময়ে আলিফের বাবা যে বিষয়গুলো মনে রাখতে বলেন-
১। আলিফকে সবসময়ই একটি শক্তিশালী এবং ইউনিক পাসওয়ার্ড (যেটি অন্যদের পাসওয়ার্ডের সাথে মেলার সম্ভাবনা কম) বাছাই করতে হবে।
২। আলিফকে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (জি মেইল, ইয়াহু, ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, টুইটার ইত্যাদি অ্যাকাউন্ট সুরক্ষার বাড়তি একটি ধাপ যেখানে অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পাসওয়ার্ড এর সাথে মোবাইল নম্বর বা ইমেইল ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হয়) চালু রাখার মাধ্যমে অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করতে আলিফ নির্ভরযোগ্য কারো সাহায্য নিতে পারে (বাবা-মা, বড় ভাই-বোন)।
৩। নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানাসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার সময়ে আলিফকে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে। যেমন- সুপরিচিত ওয়েবসাইট বা অ্যাপ না হলে, নির্ভরযোগ্য কারো পরামর্শ ব্যতীত এই তথ্যগুলো প্রদানে বিরত থাকতে হবে।
অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করার সময়ে আলিফেরবাবা যে বিষয়গুলো মনে রাখতে বলেন:
১। অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করার পূর্বে যেই ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মটিআলিফ ব্যবহার করতে চায় সেটি গ্রহণযোগ্য বা নির্ভরযোগ্য কিনা তা বাবা-মা, বড় ভাই-বোন বা এ বিষয়ে ভালো জানে এমন কারও কাছ থেকে জেনে নিয়ে তবে ব্যবহার করা।
২। আলিফ যদি কোনো সন্দেহজনক লিঙ্ক দেখে তবে সেগুলো ব্যবহার করা অথবা এসব লিঙ্কে প্রবেশ করতে অ্যাকাউন্টের তথ্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবে।
৩। পাবলিক (গণ) ওয়াই-ফাই ব্যবহারের ক্ষেত্রে আলিফ অবশ্যই সাবধানতা মেনে চলবে।
৪। আলিফ যদি সাইবার ক্যাফে ব্যবহার করে অথবা ব্যক্তিগত ডিভাইস ছাড়া অন্য কোথাও অ্যাকাউন্ট লগ ইন করে তাহলে, কখনোই লগ-ইন তথ্য সেভ করে রাখবে না। এবং কাজ শেষে অবশ্যই অ্যাকাউন্ট লগ-আউট করবে।
অ্যাকাউন্টের জন্য পাসওয়ার্ড নির্বাচনের সময়ে আলিফের যে বিষয়গুলোমনে রাখতে হবে:
১। আলিফ যদি অক্ষর, সংখ্যা এবং কিবোর্ড সংকেতসমূহের সমন্বয়ে (যেমন- #@$% ইত্যাদি) পাসওয়ার্ড নির্বাচন করে তাহলে তা অন্যদের পক্ষে ধারণা করা কঠিন হবে।
২। ইংরেজি ছোট ও বড় হাতের অক্ষরের মিশ্র ব্যবহার করে আলিফ পাসওয়ার্ডটিকেআরো শক্তিশালী করতে পারবে।
৩। আলিফ তার নিজের নাম বা পরিচিত কারো নামের আদ্যাক্ষর, জন্ম দিন, জন্মের সাল, ফোন নম্বর ইত্যাদির সাহায্যে পাসওয়ার্ড তৈরি করবে না। কারণ, তা অন্যদের পক্ষে ধারণা করা অপেক্ষাকৃত সহজ।
৪। আলিফকে কমপক্ষে ৮ টি অক্ষর ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড বানাতে হবে। সংখ্যা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরলধারা (যেমন ১১১, ৯৯৯, ১২৩) ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।
৫। কোনো অবস্থায়ই অন্যদের সাথে আলিফ পাসওয়ার্ড শেয়ার করবে না।