অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্স বাদ দেয়া
মোবাইল ফোন কেনার পর দেখবেন অনেক অ্যাপ্স আগে থেকেই ফোনে ইন্সটল করা থাকে। এসব অ্যাপ্স এর অনেকগুলোই আমাদের প্রয়োজন পড়ে না। এসব অ্যাপ্স এর মধ্যে যেগুলা প্রয়োজন হয় সেসব ছাড়া বাকিগুলা বাদ দিয়ে দেয়াই উচিত। নাহলে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্স দিয়ে ফোনের স্টোরেজ ভরে থাকবে, প্রয়োজনীয় অ্যাপ্স ইন্সটল করার সুযোগ পাবেন না।
চলুন জেনে নেয়া যাক যে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্স বাদ দেয়ার জন্য কী করবেন?
- অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সেটিংস এ গিয়ে apps অপশনে যান।
- যে অ্যাপ বাদ দিতে চান এটাতে ক্লিক করুন
- এখানে ফোর্স স্টপ অথবা ডিজেবল/আনইন্সটল নামে দুইটি অপশন দেখতে পাবেন
- ডিজেবল/আনইন্সটল এ ক্লিক করুন
- Yes/disable সিলেক্ট করুন
- অ্যাপটি আনইন্সটল হয়ে যাবে।
কিছু সিস্টেম অ্যাপ আছে যা আপনার অপ্রয়োজনীয় কিন্তু সেসব অ্যাপ বাদ দেয়ার সুযোগ রাখা হয় নি। এসব অ্যাপ অপ্রয়োজনীয় হলেও বাদ দেয়া যায়না অনেক সময়।
ব্রাইটনেস কন্ট্রোল
কম্পিউটার বা মোবাইলের ব্রাইটনেস কন্ট্রোল করা না হলে তাতে কাজ করতে যেমন অসুবিধা হয়, তেমনি এই কারণে চোখেরও ক্ষতি হয়। আপনার ডিভাইসে কীভাবে ব্রাইটনেস কন্ট্রোল করবেন চলুন জেনে নেই সে সম্পর্কে।
কম্পিউটারের ব্রাইটনেস কন্টোল
১। কম্পিউটারের কীবোর্ডে থাকা ফাংশন কী গুলো খেয়াল করুন। এর মধ্যে কোনটাতে লাইট চিহ্ন থাকলে এই বোতাম চেপে ব্রাইটনেস বাড়ানো-কমানো যাবে।
২। উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে আরেকটি সুবিধা হল ব্যাটারি আইকন থেকেও ব্রাইটনেস কমানো-বাড়ানো যাবে। সেজন্য ব্যাটারি আইকনে ক্লিক করলেই ব্রাইটনেস পরিবর্তনের অপশন আসবে।
৩। স্টার্ট মেনুর পাশে থাকা সার্চ আইকনে ব্রাইটনেস সেটিংস লিখে সার্চ করলেই এই সেটিংস ওপেন হয়ে যাবে। সেখান থেকে ব্রাইটনেস পরিবর্তন করতে পারবেন।
৪। ল্যাপটপের চার্জ যখন ২০% এর নিচে চলে আসে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাটারি সেইভার অন হয়ে ব্রাইটনেস কমে যায়। ব্যাটারি সেইভার অন হবার সময় নির্দিষ্ট করে দিয়ে আপনি এইটাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
ফোনের ব্রাইটনেস কন্ট্রোল
১। ফোনের ব্রাইটনেস নিয়ন্ত্রণের জন্য সেটিংস অপশনে যেতে পারেন অথবা ফোনের স্ক্রিনের উপরের দিকে যেখানে শর্টকাট কী গুলো থাকে সেখানে ব্রাইটনেস নিয়ন্ত্রণের অপশন থাকে। এই দুই জায়গা থেকেই ফোনের ব্রাইটনেস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আবার ব্যাটারি সেইভার অন হলে তখন ব্রাইটনেস স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কমে যায়, চার্জ দিলে বেড়ে যায়।
২। ফোনের ব্রাইটনেস সেটিংসয়ে অটো-ব্রাইটনেস অপশন আছে যা নির্বাচন করে রাখলে প্রয়োজনের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রাইটনেস বদল হয়ে যাবে।
প্যারেন্টাল কন্ট্রোল
শিশুদের ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভিভাবকের কিছু বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এসব বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ আরোপকে বলে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল। প্যারেন্টাল কন্ট্রোল করার জন্য কিছু অ্যাপ আছে। আপনি চাইলে এসব অ্যাপ বা সফটওয়্যার দিয়ে সন্তানের ডিভাইস ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। আবার অ্যাপ ব্যবহার না করেও পারিবারিক কিছু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেও এই প্যারেন্টাল কন্ট্রোল করতে পারেন।
অ্যাপ এর মাধ্যমে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল
প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অ্যাপ কী কাজ করে?
প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অ্যাপের মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের ইন্টারনেট ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এসব অ্যাপ এর মাধ্যমে বাচ্চাদের জন্য অপ্রয়োজনীয়, ক্ষতিকর, বেআইনী ওয়েবসাইট ও ওয়েব কন্টেন্ট ব্লক করা যায়। সার্চ ইঞ্জিন, ব্রাউজার, ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট, মেসেজিং অ্যাপসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চাদের ডিভাইস ও ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্যারেন্টাল কন্ট্রোল এর মাধ্যমে আরও যা যা করা যায় তা হলো-
১। সার্চ ইঞ্জিনে কী কী আসবে তা নিয়ন্ত্রণ করা
২। বিশেষ কিছু ওয়েবসাইট, অ্যাপ, ভিডিও গেইম ব্লক করা
৩। স্টোর থেকে কোন অ্যাপ ডাউনলোড বা কোন অনলাইন সেবা ক্রয়ের আগে অভিভাবকের অনুমতির ব্যবস্থা করা
৪। বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা সেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাচ্চার বয়সের সীমা নির্ধারণ করে দেয়া
৫। ডিভাইসে কী পরিমাণ সময় ব্যয় করতে পারবে সেই ব্যাপারে সীমা নির্ধারণ করে দেয়া।
পারিবারিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল
ডিজিটাল ডিভাইসের পিছনে কি পরিমাণ সময় দেয়া যাবে, কোন ক্ষেত্রে ডিভাইস ব্যবহার করবে বা এ ধরনের প্রয়োজন হলে কী করবে সে ব্যাপারে পরিবারের মধ্যে নিয়ম ঠিক করে দেয়া যেতে পারে। কিংবা আরও কিছু ব্যবস্থাপনা আছে যেগুলোর মাধ্যমে শিশুর ডিজিটাল ডিভাইস ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভিভাবকের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা যায়। যেমন –
১। দিনে কত ঘণ্টা সময় ডিভাইসের পিছনে ব্যয় করা যাবে সে ব্যাপারে নিয়ম করে দিতে পারেন। শুধু শিশুর জন্য না, এই নিয়ম পরিবারের সকল সদস্যের জন্যই নির্ধারণ করুন।
২। এই নিয়মগুলো সঠিকভাবে আপনি নিজে মানুন এবং শিশুকেও মেনে চলতে উৎসাহ দিন।
৩। শিশুরা খুবই অনুকরণপ্রিয় হওয়ায় তাদের সামনে ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং নিয়মগুলো আপনি নিজেও মেনে চলুন। উদাহরণ স্থাপন না করলে শিশু এগুলো মানতে উৎসাহ পাবে না।
৪। শিশু যে ডিভাইসটি ব্যবহার করবে তা বাসার এমন জায়গায় রাখুন এবং মনিটরটি এমনভাবে রাখুন যেন শিশু কখন ডিভাইস ব্যবহার করছে বা কী ধরনের কন্টেন্ট ব্রাউজ করছে তা সবাই দেখতে পারে।
৪। পরিবারের সবাই মিলে ডিজিটাল ডিভাইসবিহীন আনন্দদায়ক সময় কাটান, শিশুকে সময় দিন।
৫। শিশুর সাথে ডিভাইস ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যাপারে খোলাখুলি আলোচনা করুন। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখুন যাতে সে এসব ব্যাপারে আপনার সাথে আলোচনা করতে ভয় না পায়। তাহলে আপনি খুব সহজেই শিশুর উপর কোন অ্যাপ ব্যবহার না করেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।