অনলাইন লেনদেন প্ল্যাটফর্মে আর্থিক লেনদেন সংশ্লিষ্ট এবং ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানে প্রয়োজনীয় সতর্কতা

অনলাইনে লেনদেন করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে, এপে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য দিতেই হয়। এসব সাইটে তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় নানান ঝুঁকিতে পড়তে হয়। সেজন্য কোন আর্থিক লেনদেন সংশ্লিষ্ট তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। ব্যক্তিগত তথ্যকে নিরাপদে ব্যবহার করতে পারা এই সময়ে বেশ ভালো একটি যোগ্যতা।

অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য দেয়ার বেলায় কী কী সতর্কতা ব্যবস্থা নেয়া উচিত?

১। লেনদেনের প্লাটফর্মটা আসল কিনা দেখে তারপর তথ্য দাও

যে মাধ্যমে লেনদেন করছো তা কোন ফিশিং সাইট কিনা লক্ষ্য করো। অনেক সময় আসল ওয়েবসাইটের মত করে অনেক ফিশিং সাইট বানানো হয় যেগুলো আসলে প্রতারণার উদ্দেশ্যে বানানো হয়। অ্যাকাউন্টের গোপনীয় তথ্য এখানে দিয়ে দিলে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হতে পারে। কিংবা অ্যাকাউন্টের সকল টাকা ট্রান্সফার করে নিতে পারে। সেজন্য কোন সাইটে তথ্য দিচ্ছো, লেনদেন করছো তা নিশ্চিত হয়ে নেয়াটা খুবই জরুরি। ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস বা ইউআরএল-এ লক্ষ্য করে দেখতে হবে, অপরিচিত কোনো অ্যাড্রেস কিনা এবং পরিচিত সাইট হলেও সাইটের নামের বানান শুদ্ধ ও সঠিক আছে কিনা সেটি যাচাই করে নিতে হবে। এছাড়া ওয়েবসাইটের এড্রেসে https:// আছে কিনা সেটাও দেখে নাও।

২। টাকার পরিমাণ ঠিক আছে কিনা দেখে নাও

অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক টাইপ করার সময় ভুল করে বেশি টাকা চলে যেতে পারে। সেজন্য লেনদেন করার সময় কত টাকা দিচ্ছো তা খেয়াল করে তারপর টাকা পাঠাও। কমবেশি হয়ে গেলে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।

৩। পিন নাম্বার গোপন রাখতে হবে

ব্যাংকের পক্ষ থেকে যদি কেউ পিন নাম্বার জানতে চায় তবুও পিন নাম্বার বলা যাবে না। ব্যাংকের কেউ পিন নাম্বার জানতেও চাইবে না। জানতে চাইলে ধরে নিবে এই লোক প্রতারক। এদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

৪। নাম এবং ফোন নাম্বার সঠিক কিনা দেখে নাও

যে নাম এবং ফোন নাম্বার দিচ্ছো তা পুনরায় যাচাই করে নিশ্চিত হয়ে নাও। ফোন নাম্বার বা নামে কোন ভুল থাকলে টাকা বা পণ্য ভুল ঠিকানায় চলে যেতে পারে। অথবা অন্য লোকের কাছে তোমার অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ চলে যেতে পারে, যা আরও ভয়াবহ।

৫। কারো সাথে পাসওয়ার্ড শেয়ার করা যাবে না

পাসওয়ার্ড হচ্ছে খুবই ব্যক্তিগত জিনিস। পাসওয়ার্ড কারো সাথে শেয়ার করা যাবেনা। খুব কাছের কারো সাথেও পাসওয়ার্ড শেয়ার করা অনুচিত। অ্যাকাউন্টের মেইল ও পাসওয়ার্ড কাউকে দিয়ে দেয়া মানে নিজে যেচে অ্যাকাউন্টকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা।

 ৬। পাসওয়ার্ড, অ্যাকাউন্ট নাম্বার বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ই-কমার্স সাইটে বা অন্য কোথাও সেইভ করে রাখা যাবেনা

অনেক সময় অলসতা করে বারবার পাসওয়ার্ড দেয়ার ঝামেলা এড়ানোর জন্যে আমরা বিভিন্ন সাইটে পাসওয়ার্ড সেইভ করে রাখি। এই কাজটা মোটেও করা যাবেনা। এসব সাইটে অ্যাকাউন্ট নাম্বার, পাসওয়ার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ডের তথ্য সংরক্ষণ করার খুব বেশি প্রয়োজন হলে কাজ শেষে এগুলো ডিলিট করে দাও।

৭। অ্যাকাউন্টে টাকার পরিমাণ ও ট্রানজেকশন আইডি কাউকে জানানো উচিত না

কারো সাথে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পাঠানোর তথ্য শেয়ার করার প্রয়োজন হলে ব্যাংকে থাকা টাকার পরিমাণ এবং ট্রানজেকশন আইডি মুছে দাও। একাউন্টের তথ্য দিয়ে তুমি প্রতারকদের লক্ষ্যে পরিণত হতে পারো। যা কোনভাবেই ভালো খবর না।