আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি যে ডিজিটাল পরিমণ্ডলে নানা ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। এসব ঝুঁকি এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য সচেতন হওয়া এবং এর থেকে রক্ষা পাবার উপায়সমূহ জানা ও অনুসরণ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে নিচের পদ্ধতি গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে-
১. ইন্টারনেটের ক্ষতিগুলো সম্পর্কে অবগত হতে হবে। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে অবগত না হওয়ার ফলে তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন বিপদে পড়ে থাকে। এক্ষেত্রে, সন্দেহজনক কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হলে অভিজ্ঞদের কাছে সাহায্য চাওয়া যেতে পারে।
২. নিজের ব্যক্তিগত তথ্যসমূহের প্রতি যত্নবান হওয়া। অভিজ্ঞতাহীনতার কারণে অনেক সময় আমরা ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত করে ফেলি যা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। সুতরাং, ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্যাবলী শেয়ারের সময় সতর্ক হওয়া আবশ্যক।
৩। আগন্তুক বা অপরিচিত ব্যক্তিদের সাথে অনলাইনে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
৪। ফিশিং থেকে বাঁচতে ইমেইল কিংবা মেসেজে প্রাপ্ত লিঙ্কসমূহে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সঠিক ঠিকানাটি জানা থাকলে সেই ঠিকানাটি ব্রাউজারে লিখে প্রবেশ করার চেষ্টা করতে হবে।
৫। একটি শক্তিশালী ও অনন্য (Unique) পাসওয়ার্ড এর সাহায্যে একাউন্টকে নিরাপদ রাখতে হবে। ভালো হয় দ্বি-মাত্রিক যাচাইকরণ (Two factor authentication) ব্যবস্থা সক্রিয় রাখলে। এর ফলে অন্য কারও পক্ষে সহসাই নেটওয়ার্কে প্রবেশ করা সম্ভব হবে না।
৬। ইন্টারনেট ব্যবহার করে কেনাকাটা করতে চাইলে কেবলমাত্র নিরাপদ এবং স্বীকৃত মাধ্যমগুলি থেকে কেনাকাটা করতে হবে।
৭। ব্যক্তিগত একাউন্টগুলির জন্য ‘প্রাইভেসি সেটিংস তথা নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়াসমূহ’ চালু রাখতে হবে।
৮। ‘পুনরুদ্ধার (রিকভারি) ইমেইল/মোবাইল নম্বর’ সংযুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে বিকল্প ইমেইল এবং নিজের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা যেতে পারে।
৯। ম্যালওয়ার/র্যনসমওয়ার ইত্যাদির ক্ষতি থেকে বাঁচতে নিয়মিত তথ্য সংরক্ষণ (ডাটা ব্যাক-আপ) করতে হবে। এছাড়া ডিভাইসের সুরক্ষায় আপডেটেড এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।
১০। কোনো তথ্য, ফাইল কিংবা নতুন আপডেট ডাউনলোডের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এক্ষেত্রে উৎসের নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা জরুরি।
১১। একটি হালনাগাদকৃত (আপডেট করা হয়েছে এমন) এন্টি-ভাইরাস ব্যবহার করার মাধ্যমে ডিভাইসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।