ঘটনা ১: দিবা তার একটি সুন্দর ছবি অনলাইনে সবার সাথে শেয়ার করলো। ২ দিন পর তার বান্ধবী তুলি তাকে বললো যে সে অন্য নামের একটি একাউন্টে দিবার ছবিটি দেখেছে। দিবা খুবই ভয় পেয়ে গেলো এবং তাড়াতাড়ি বাসায় চলে গেল।
ঘটনা ২: রাতুল চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। অনলাইনে ক্লাসগুলো করার জন্য তার বড় ভাইয়ের সাহায্য নিয়ে খুব সহজ একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ফেসবুকে একটি একাউন্ট তৈরি করলো, যাতে পরবর্তীতে সে পাসওয়ার্ডটি ভুলে না যায়। ২ সপ্তাহ পর হঠাৎ করে দেখলো সে তার একাউন্টে আর প্রবেশ করতে পারছে না।
ঘটনা ৩: চৈতী তার বাবার মোবাইল ফোন নিয়ে তার ভাই-বোনদের সাথে ছাদে ঘুরতে গিয়েছিলো। খেলাধুলা করার সময় সে ফোনটি একটি টেবিলে রেখে দিয়েছিলো। বাসায় ফেরার সময় মোবাইল ফোনটি খোঁজ করলে সে ফোনটি আর খুঁজে পায় না। চৈতী তার বাবার ফোনটি হারিয়ে ফেলেছে।
ঘটনা ১ এবং ঘটনা ২ এ দিবা এবং রাতুল অনলাইন ঝুঁকির শিকার হয়েছে। আর ঘটনা ৩ এ চৈতীর বাবার ফোন থেকে তথ্য চুরির একটি সম্ভাবনা থাকে।
তোমার কখনো যদি মনে হয় তুমি অনলাইন ঝুঁকির (যেমন- একাউন্ট হ্যাকিং, ফিশিং, তথ্য চুরি) শিকার হয়েছো, তাহলে প্রথম কাজটি হবে তোমার অভিভাবককে জানানো। তারপর তাদের সাহায্য নিয়ে যা করণীয় তা করতে হবে।
আমরা ইতিমধ্যে অনলাইনের বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকির কথা জেনেছি। এটাও জেনেছি যে কীভাবে আমরা সতর্ক থাকবো। তারপরও এমন অনেক অবস্তায় আমরা পড়তে পারি যেখানে তোমরা নিজেরা সিদ্ধান্ত না নিয়ে তোমার অভিভাবকের সাথে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া অনেক সময় অনলাইনের বিভিন্ন কাজে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি। এ সমস্ত কাজ করার সময়ও অনেক ধরনের জটিলতা আসতে পারে। তখন সেসকল জটিলতার সমাধানে আমাদের সর্বপ্রথম অভিভাবকের সান্নিধ্যে আসা উচিত এবং তাদের এসব বিষয়ে জানিয়ে সহায়তা চাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কোনভাবেই গোপন করা বা এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। তাতে বিপদ/ঝুঁকির সম্ভাবনা আরও বাড়তে পারে।