জনপ্রিয় কমিউনিকেশন অ্যাপ এর মধ্যে ইমো অন্যতম। বাংলাদেশে বিশেষ করে প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা বিদেশে যোগাযোগের জন্যে এই অ্যাপ বেশি ব্যাবহার করতে দেখা যায়। এই অ্যাপে সবচেয়ে আগে ভিডিও কলের অপশন থাকায় অনেক বেশি মানুষ ব্যবহার করেছে। ইমোতে টেক্সট মেসেজ পাঠানোর সুযোগ থাকলেও তাই অনেকেই এই অ্যাপকে শুধুমাত্র ভিডিও কল করার অ্যাপ হিসেবেই জানেন।
ইমো অ্যাপ ব্যাবহার করতে কী প্রয়োজন?
একটি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার
ইন্টারনেট সংযোগ
ইমো অ্যাপ
ইমো ব্যাবহার করবে কীভাবে?
গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে এই অ্যাপ ডাউনলোড করার পর এখানে ফোন নাম্বার দিতে বলবে। ফোন নাম্বার দেয়ার পর তোমার নাম্বারে একটি কোড পাঠাবে। এই কোড দিলেই ইমো একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে মেসেজিং, অডিও-ভিডিও কল, ফাইল শেয়ারিং সব করা যাবে।
১। কমিউনিকেশন অ্যাপগুলো দেখতে এবং ব্যবহার করতে প্রায় একই রকম। ইমো অ্যাপে অডিও এবং ভিডিও কলে কথা বলা যায়। সেজন্য যাকে ফোন দিবে তার ইনবক্সে গিয়ে অডিও বা ভিডিও কলের আইকনে ক্লিক করতে হবে।
২। ইমো অ্যাপে লিখিত এবং অডিও দুই ধরণের মেসেজই পাঠানো যায়। লিখিত মেসেজ পাঠানোর জন্য মেসেজ বক্সে মেসেজটা টাইপ করে সেন্ড বাটন চাপলেই মেসেজ চলে যাবে। অডিও মেসেজ পাঠানোর জন্য অডিও আইকনে প্রেস করে কথা বললে সে কথা রেকর্ড হয়ে যাবে। যা সেন্ড বাটন চেপে পাঠিয়ে দেয়া যাবে।
৩। যেকোন ছবি বা ভিডিও ইমোর মাধ্যমে পাঠানো যাবে। সেজন্য ছবি বা ভিডিও ফোনের কাঙ্ক্ষিত ফোল্ডার থেকে আপলোড করে তারপর পাঠাতে হবে।
৫। ইমোতে বিভিন্ন গ্রুপ খুলে একই কাজের বা চিন্তার মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে।
ইমোর সুবিধাগুলো
ইমোর অসুবিধাগুলো
ইমোতে তথ্যের নিরাপত্তা
এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সিস্টেম না থাকায় এবং অবাঞ্ছিত ফোন, মেসেজ পাবার সম্ভাবনা, অন্য কারো নাম্বার অটোমেটিক যুক্ত হয়ে যাওয়ার সমস্যার জন্যে ইমোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত সুবিধাজনক না। অন্যান্য কমিউনিকেশন অ্যাপের তুলনায় ইমোতে অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশনের পরিমাণও অনেক বেশি।