অনেকগুলো কমিউনিকেশন অ্যাপ এর মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, ভাইবার এগুলো অন্যতম। এই অ্যাপের সুবাদে দেশ-বিদেশে যোগাযোগ অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে। ব্যক্তিগত বা কর্মক্ষেত্রের যেকোনো কাজ অতি সহজেই করছেন সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। এমনই বহুল ব্যবহৃত একটি অ্যাপ হলো হোয়াটসঅ্যাপ। ১৮০ টি দেশের দুই বিলিয়নেরও বেশি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাবহার করে থাকে।
অ্যাপ ব্যাবহার করতে কী প্রয়োজন?
একটি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার
ইন্টারনেট সংযোগ
অ্যাপ বা ইন্টারনেট ব্রাউজার
কীভাবে ব্যাবহার করতে হয়?
স্মার্টফোনের মাধ্যমে
কম্পিউটারের মাধ্যমে
ব্যবহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
১। হোয়াটসঅ্যাপে অডিও এবং ভিডিও কলে কথা বলা যায়। সেজন্য যাকে ফোন দিবে তার ইনবক্সে গিয়ে অডিও বা ভিডিও কলের আইকনে ক্লিক করতে হবে।
২। এখানে লিখিত এবং অডিও দুই ধরণের মেসেজই পাঠানো যায়। লিখিত মেসেজ পাঠানোর জন্য মেসেজের বক্সে মেসেজটা টাইপ করে সেন্ড বাটন চাপলেই মেসেজ চলে যাবে। অযাচিত মেসেজ চলে গেলে প্রাপক দেখার আগেই মেসেজটা ডিলিট বা আনসেন্ট করার সুযোগ আছে।
৩। যেকোনো ছবি বা ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপ মোবাইল বা কম্পিউটার যেকোনো ভার্শন থেকেই পাঠানো যাবে। সেজন্য ছবি বা ভিডিও ফোনের কাঙ্ক্ষিত ফোল্ডার থেকে আপলোড করে তারপর পাঠাতে হবে।
৪। হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন গ্রুপ খুলে একই কাজের বা চিন্তার মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে।
হোয়াটসঅ্যাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
১।এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন
এই ব্যবস্থায় প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যকার মেসেজটি তৃতীয় কোন ব্যক্তি এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের কেউও দেখতে পারেননা। মেসেজকে কোডের মাধ্যমে লক করা হয় যাতে অন্য কেউ এই মেসেজ দেখতে না পারে।
২। টু –ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন
লগইন করার সময় মেইল ও পাসওয়ার্ড দেয়ার পর তোমার ফোনে বা মেইলে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড পাঠিয়ে নিশ্চিত হওয়া হয় যে তুমিই লগইন করেছো। ফেসবুক বা গুগলের মত হোয়াটসঅ্যাপে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে।
৩।অবাঞ্ছিত মেসেজ বা কল করা সম্ভব না এবং ব্লক করা যায়
নতুন কেউ মেসেজ বা কল দিলে তুমি এই যোগাযোগ অনুমোদন না করলে সে তোমার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না। এভাবে অপ্রয়োজনীয় মেসেজ এড়িয়ে চলতে পারবে। এবার বিদ্যমান কোন একাউন্ট চাইলে ব্লক করা যায়।