ডিজিটাল ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। আবার সঠিকভাবে যদি ইন্টারনেট ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার না করা হয় তবে আপনি বিভিন্ন ধরণের বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন।
ডিজিটাল পরিমন্ডলের সম্ভাব্য যে সকল বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন তার কয়েকটি নীচে উল্লেখ করা হলো:
১. সাইবার বুলিং (ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে হেনস্তা করা)
২. গোপনীয়তা নষ্ট হওয়া।
৩. পরিচয় নকলকারীর মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হওয়া।.
৪. অপরিণত বয়সীদের কাছে আপত্তিকর ছবি, ভিডিও চলে যাওয়া।
৫. অপরিচিতদের কাছে ব্যক্তিগত তথ্য চলে যাওয়া। যা তাদের মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষের নিকট চলে যাওয়া।
৬. নেটওয়ার্ক বা ডিভাইসে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে তথ্য, ফাইল চুরি, পরিবর্তন বা এর ক্ষতি সাধন (হ্যাকিং) ।
৭. ফিশিং বা নানা প্রলোভন ও প্রতারণার মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ব্যবহারকারী নাম ও পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য - ইত্যাদি সংগ্রহ করা।
৮. ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রবেশ করে ডিভাইসের স্বাভাবিক কাজ বাঁধাগ্রস্ত হওয়া, গোপনে তথ্য সংগ্রহ করা বা নেটওয়ার্কে অবৈধ অনুপ্রবেশ করা, ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
সাইবার বুলিং বা অনলাইন হয়রানির শিকার যে কারো মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। বিশেষ করে, বিষন্নতা, উদ্বেগ এবং বিচলতার মতো উপসর্গ প্রবল আকার ধারণা করতে পারে। এমন কি, অনলাইন হয়রানির শিকার কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আত্মঘাতী হবার প্রবণতাও অনেক বেশি।
সুতরাং, ব্যক্তিগত বা পেশাগত যেই কারণেই ইন্টারনেট ব্যবহার করুন না কেন, আপনাকে অবশ্যই ডিজিটাল পরিমণ্ডলের ঝুঁকিগুলি সম্পর্কে শুরুতেই সচেতন হতে হবে।