বিশ্বায়নের এই যুগে ডিজিটাল পরিষেবা তথা ইন্টারনেটভিত্তিক সেবাসমূহে অভ্যস্ততা বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। ডিজিটাল সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সেবা সহজীকরণের কারণে কেনাকাটা, গবেষণা, গ্যাস-বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করা, ভর্তি, অ্যাপয়েন্টমেন্ট, অন্যদের সাথে যোগাযোগ করা ইত্যাদি নানা উদ্দেশ্যে আমাদের দৈনন্দিন জীবন অনেকটাই ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে গিয়েছে। ইন্টারনেটের এই বহুমুখী ব্যবহার জীবনকে সহজতর করেছে ঠিকই, তবে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার সাথে এর সামঞ্জস্যতা ঠিক না রাখতে পারলে বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়।
ডিজিটাল পরিমন্ডলে যে কেউ কয়েকটি সম্ভাব্য বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। যেমন-
১. সাইবার বুলিং (ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে হেনস্তা করা)
২. গোপনীয়তা নষ্ট হওয়া।
৩. পরিচয় নকলকারীর মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হওয়া।.
৪. অপরিণত বয়সীদের কাছে আপত্তিকর ছবি, ভিডিও চলে যাওয়া।
৫. অপরিচিতদের কাছে ব্যক্তিগত তথ্য চলে যাওয়া। যা তাদের মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষের নিকট চলে যায়।
৬. নেটওয়ার্ক বা ডিভাইসে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে তথ্য, ফাইল চুরি, পরিবর্তন বা এর ক্ষতি সাধন (হ্যাকিং)।
৭. ফিশিং বা নানা প্রলোভন ও প্রতারণার মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ব্যবহারকারী নাম ও পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য - ইত্যাদি সংগ্রহ করা।
৮. ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রবেশ করে ডিভাইসের স্বাভাবিক কাজ বাঁধাগ্রস্ত হওয়া, গোপনে তথ্য সংগ্রহ করা বা নেটওয়ার্কে অবৈধ অনুপ্রবেশ করা, ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
সাইবার বুলিং বা অনলাইন হয়রানির শিকার তরুণ-তরুণীদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। বিশেষ করে, বিষন্নতা, উদ্বেগ এবং বিচলতার মতো উপসর্গ প্রবল আকার ধারণা করতে পারে। এমন কি, অনলাইন হয়রানির শিকার কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও অনেক বেশি।
সুতরাং, ব্যক্তিগত বা পেশাগত যেই কারণেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকো না কেন, তোমাকে অবশ্যই ডিজিটাল পরিমণ্ডলের ঝুঁকিগুলি সম্পর্কে শুরুতেই সচেতন হতে হবে।