ডিজিটাল পরিমণ্ডলের ঝুঁকিসমূহ থেকে নিজের ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখতে করনীয়

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা নানাভাবে বিপদ বা ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। এর মধ্যে কয়েকটি সম্ভাব্য বিপদ হলো- হ্যাকিং এর শিকার হওয়া, ক্ষতিকর ভাইরাস এর আক্রমনের শিকার হওয়া, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, ইত্যাদি। 

এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনার সম্মুখীন হলে তোমার অজান্তেই তোমার অ্যাকাউন্ট ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এমনকি অ্যাকাউন্ট ও ডিভাইসের অ্যাক্সেস প্রতারকদের কাছে চলে যেতে পারে। 

প্রতারকদের হাত থেকে তোমার অ্যাকাউন্ট যেভাবে রক্ষা করবে:

১। তোমার Wi-Fi নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত করো।

২। তোমার অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ডটি নিয়মিত পরিবর্তন করো।

৩। দ্বিমাত্রিক প্রমাণীকরণ (টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন) চালু করে রাখো।

৪। পুরানো রাউটার পরিবর্তন করো।

৫। তোমার নেটওয়ার্ককে নিয়মিত নিরীক্ষণ (মনিটর) করো।

 এছাড়াও নিজের অ্যাকাউন্ট ও ডিজিটাল ডিভাইসে থাকা তথ্যসমূহ সুরক্ষিত রাখতে নিচের ধাপগুলি অত্যন্ত কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত হয়:

 ক) একটি পাসকোড দিয়ে ডিভাইসটি সুরক্ষিত রাখতে হবে৷ মনে রাখবে, তোমার ব্যক্তিগত তথ্যসমূহে অ্যাক্সেস পাওয়ার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হল এটি নকল করতে পারা। তাই এমন একটি পাসকোড দিতে হবে যেটি সহজেই অন্যের পক্ষে আন্দাজ করা সম্ভব হবে না। 

খ) তোমার ব্যবহার করা অ্যাপসমূহকে নিয়মিত চেক/মনিটর করে দেখবে যেন তোমার অজান্তে কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপসের সাথে সংযুক্ত না থাকে।

গ) পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

ঘ) তোমার প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ দূরবর্তী বিকল্প কোনো মাধ্যমে (রিমোট ব্যাক আপ স্টোরেজ এ) জমা রাখতে পারো।

ঙ) তোমার ডিভাইসে ব্যবহার করা অপারেটিং সিস্টেমকে নিয়মিত আপডেট করতে হবে।

চ) কোথাও তোমার অ্যাকাউন্ট লগ-ইন করলে অবশ্যই কাজ শেষে অ্যাকাউন্ট থেকে লগ আউট হতে হবে।

 ব্যক্তিগত বা পেশাগত যেই কারণেই তুমি ইন্টারনেট ব্যবহার করো না কেন, তোমাকে অবশ্যই ডিজিটাল মাধ্যম সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে শুরু থেকেই সচেতন থাকতে হবে। কারণ, এসব ঝুঁকি মারাত্মক হলেও বুদ্ধিমত্তা ও সচেতনতার মাধ্যমে সেগুলো থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব। আর সচেতনতার মাধ্যমে নিজের সুরক্ষাই বুদ্ধিমানের কাজ।