অনলাইন মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য বিভিন্ন প্রয়োজনে শেয়ার করতেই হয়। এসব তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সচেতন না থাকলে বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। সেজন্য ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে কী কী সতর্কতা ব্যবস্থা নেয়া উচিত সে সম্পর্কে সকলেরই জানা উচিত।
সামাজিক মাধ্যমে অ্যাকাউন্টের তথ্য
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কড-ইন এগুলোতে অ্যাকাউন্ট করার সময় কিছু ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হয়। এসব তথ্য দিয়ে প্রোফাইল সম্পূর্ণ করা লাগে।
- এসব তথ্যে প্রাইভেসি স্যাটিংস পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত তথ্য শুধুমাত্র যার অ্যাকাউন্ট তার জন্য দৃশ্যমান করে রাখতে চাইলে Only me অপশনটি নির্বাচন করতে হবে।
- যারা বন্ধু তালিকায় আছে তাদের কাছে দৃশ্যমান রাখতে চাইলে friends, সবার জন্য দৃশ্যমান রাখতে চাইলে Public করবেন।
-এবং কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে দৃশ্যমান রাখতে চাইলে Specific Friends, গোপন রাখতে চাইলে Friends Except, শুধু কাছের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে চাইলে Close friends, এবং একসাথে কয়েকজন থেকে গোপন/দৃশ্যমান রাখতে চাইলে Custom অপশনে গিয়ে সেসব ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করে দিতে পারবেন।
- ব্যক্তিগত তথ্যের মধ্যে যেগুলো খুব বেশি জরুরি তথ্য যেমন ফোন নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, বিস্তারিত ঠিকানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য এসবের প্রাইভেসি স্যাটিংস Only me রাখা উচিত।
সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত কন্টেন্ট
সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে মতামত, ছবি, লেখা, জীবনযাপন, ভ্রমণ সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে প্রাইভেসি স্যাটিংস কন্টেন্ট ভেদে ঠিক করে দিবেন। খুব বেশি ব্যক্তিগত তথ্য হলে Only me বা Frineds দিতে পারেন। আবার আরেকটি প্রাইভেসির সুযোগ আছে তা হলো অ্যাকাউন্ট লক করে রাখা। অ্যাকাউন্ট লক করা থাকলে বন্ধু তালিকায় নেই এমন কেউ আপনার অ্যাকাউন্টের নাম এবং প্রোফাইল ছবি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবে না।
বিভিন্ন অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে থাকা ব্যক্তিগত তথ্য
- কোন অ্যাপ ইন্সটল করলে বা কোন ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট করার ক্ষেত্রে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হয়। যেমন নাম, ফোন নাম্বার, অ্যাকাউন্ট নাম্বার, পাসওয়ার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার, পাসপোর্ট নাম্বার, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ইত্যাদি দিতে হতে পারে। এসব ওয়েবসাইট বা অ্যাপের প্রয়োজনের বাইরে কোন তথ্য চাইলে সেসব দেয়া থেকে বিরত থাকুন। বা প্রয়োজনে এগুলো বাদ দিয়ে একই কাজ করা যায় এমন অন্য কোন অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।
-পাশাপাশি কিছু ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে এবং অ্যাপ ডাউনলোড করলে এসব জায়গায় আপনার ডিভাইসের কিছু অংশ যেমন গ্যালারি, ফোনবুক, মেসেজ, ক্যামেরা, লোকেশন ইত্যাদিতে প্রবেশের অনুমতি দিতে হয়। এসব জায়গায় অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অংশের অনুমতি দিন। এবং এইগুলো শুধুমাত্র অ্যাপ ব্যবহারের সময়ের জন্য অনুমোদন করুন।
- আবার অনেক ওয়েবসাইট গ্রাহকের অনলাইন সক্রিয়তা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে যেমন cookies, search history, password, email ইত্যাদি। এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করা ওয়েব ব্রাউজিং এর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। কিন্তু এসব তথ্য সংগ্রহের অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে যাচাই করে তারপর অনুমতি দেয়া উচিত।
অপরিচিত কোন ওয়েবসাইট বা অ্যাপে তথ্য দেয়া
কোন ওয়েবসাইট যদি মনে হয় যে আসল না বা সন্দেহজনক কিছু পান তাহলে সেসব ওয়েবসাইট তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকুন। যেকোনো জায়গায় ব্যক্তিগত তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চিত না হয়ে দিবেন না। নাহলে ফিশিং অথবা হ্যাকিং এর শিকার হতে পারেন।